Thikana News
২৫ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের পরামর্শ

ড. ইউনূসের দপ্তর থেকে প্রতি সপ্তাহে বিফ্রিং দরকার

ড. ইউনূসের দপ্তর থেকে প্রতি সপ্তাহে বিফ্রিং দরকার বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন



 
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। এমন চর্চা বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই ধরনের ক্রান্তিকালে নাগরিকরা জানতে চায়- কী হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার গণমাধ্যমের সম্মুখীন হলে ভালো হতো। স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগের একটি নিয়মিত ব্যবস্থা দরকার। তবে এটি যেন চাটুকরিতার মঞ্চে পরিণত হয় সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। ১৭ আগস্ট (শনিবার) বেলা সোয়া তিনটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে তিনি তাঁর প্রত্যাশার কথা এভাবে তুলে ধরেছেন। 

বিশ্বব্যাংকের সাবেক এ প্রধান অর্থনীতিবিদ লিখেছেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রূপান্তরের যে অধ্যয় শুরু হলো তা ইতিহাসে বিরল। এই নতুন পথের গন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক প্রথায় সুশাসিত, বৈষম্যবিহীন, প্রগতিশীল সমাজ। নির্বাচিত সরকার যে কর্তৃতবাদী ও স্বৈরাচারি হতে পারে তা বাংলাদেশিদের শিখিয়েছে বিগত সরকার। অনির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক হতে পারে কিনা তা এখন দেখার সুযোগ করে দিল আমাদের শিক্ষার্থীরা। আশা করি, তারা নিজেরাও গন্তান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী করায় পূর্ণ সচেতন থাকবেন এবং সহযোগী হবেন। 

তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের বয়স আজ ৯ দিন মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশ পরিচালনা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরে সরকারকে একটু সময় দিতে হবে ঘর গোছানোর জন্য।  সরকারের সিদ্ধান্তের যথার্থতা ও পদক্ষেপের সঙ্গতির আলোচনা ও সমালোচনার অনুকূল পরিবেশ এখন গড়ে উঠছে। এখান থেকে শুরু হোক গণতান্ত্রিক চর্চা।

ড. জাহিদ হোসেন ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা বাড়ানোর পথে এখন আর বাধা নেই। এই ধরনের ক্রান্তিকালে নাগরিকরা জানতে চায়- কী হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, কোথায় যাচ্ছি। মুক্ত হয়েছি কিন্তু আগামীতে মুক্তির ধারাবাহিকতার নিশ্চয়তা কতটুকু? স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগের একটি নিয়মিত ব্যবস্থা দরকার। উপদেষ্টাদের অনেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এটা এক ধরনের সংযোগ। সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে নিয়মিত বিফ্রিং সেই তুলনায় বেশি খাঁটি। এমন উত্তম চর্চা অনেক গণতান্ত্রিক দেশে আছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার গণমাধ্যমের সম্মুখীন হলে ভালো হতো। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা নিজে আসলে আয়োজনটা সহজ হয়ে যায়। তেমন কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না। কারণ উপস্থিত বক্তা তো বটেই, সঞ্চালনেও উনি পারদর্শী। উনার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যপত্রই যথেষ্ট। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে উনার প্রতিটি ব্রিফিংয়ে আসা সম্ভব হবে না। সেই ক্ষেত্রে উনার প্রেস সচিব উপস্থাপনা ও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। খোলামেলা পরিবেশে প্রেস ব্রিফ হতে হবে। এটি যদি চাটুকরিতার মঞ্চে পরিণত হয় তাহলে সব বিফলে যাবে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স