একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম হতে চলেছে- এই নতুন দেশে আমরা আর পিতার কোলে সন্তানের লাশ দেখতে চাই না, আমরা পেতে চাই না বাতাসে লাশের গন্ধ। আমরা এই বাংলার মাটিতে বুলেটের আঘাতে কোন তাজা তরুণের বুকের রক্তের দাগ আর দেখতে চাই না। -“দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো - কোন পক্ষে যাবে? -যখন মিছিল নামে রাজপথে মানুষের দাবির মিছিল, যখন মিছিল নামে রাজপথে মানুষের ক্ষুধার মিছিল -তখন তোমার হাতে গর্জে উঠে তীক্ষè রাইফেল, তুমি ব্যবহৃত হও, নিরুপায় ব্যবহৃত হও। -তুমি গুলি ছুড়ছো, তুমি গুলি ছুড়ছো মানুষের দিকে। যে মানুষের মধ্যে কেউ একজন তোমার ভাই, কেউ একজন তোমার পিতা, কেউ বোন, কেউ একজন তোমার ছেলে” বা মেয়ে- কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতাটি এবারও আমায় অনেক কথা মনে করিয়ে দেয়- প্রত্যেক মায়ের নারী ছেড়া ধন যাকে পিতামাতা ভ্রণাবস্থা থেকে তিল তিল করে প্রতিক্ষণে প্রতি মুহূর্তে প্রতি দিনে প্রতি মাসে প্রতি বছরে বছরে বড় করে তুলেছে, সেই ৩-৪-৬-১২-১৬-২০-২৫ বছরের আদরের কলিজার টুকরো সন্তানদেরকে যদি রাইফেল তাক করে বুলেটের আঘাতে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন স্তব্দ করে দেয়া হয়, যদি সাপের মতো সারা রাত লাঠি, ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে পিটাতে -পিটাতে -তার নিথর নিস্তব্ধ দেহটি নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে অবশেষে মৃত্যুর ঘোষণা দেয়া হয় -তখন আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারি না, আমি শিউরে উঠি। আমি চিৎকার করে কাঁদতে পারি না। আমি কাউকে কিছু বলতে পারি না। বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে ধিক্কার দেই। কারণ -কারণ কোনো এক কারণে Ñআমার মুখ বাঁধা, চোখ বাঁধা, হাত পা সব বাঁধা। আমরা স্বাধীন দেশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে গেলে নিষ্ঠুর ব্যাধের তাক করা গুলতিতে আমাদের ডানা ভেঙে দেয়া হয়, আমাদের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়া হয়।
আমার এতটুকু জীবনে আমি তিনটি বৃহৎ দলের সরকারের আমল দেখেছি। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে তার বিরুদ্ধে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় কিছুই বলা যাবে না। এটাই বাংলাদেশের কালচার হয়ে গিয়েছিল। আমরা এই কালচার থেকে এ সময় বেরিয়ে আসতে চাই। সেজন্যই আমার আজকের এই লেখা।। লেখার প্রথম দিকে কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছি Ñকোন পক্ষে যাবে? আমি কোন আশ্চর্য পক্ষে যেতে চাই না। আমি তো সরকারি বা বিরোধী পক্ষের লোক নই। তবে আমারও পক্ষ আছে। আমি চাই ন্যায়ের পক্ষ, সততার পক্ষ, সত্যবাদিতার পক্ষ, দেশ মাতৃকার পক্ষ, আইন মেনে কাজ করার পক্ষ, আন্তরিকতার পক্ষ, ভালোবাসার পক্ষ, ধৈর্যের পক্ষ, নির্লোভের পক্ষ, সদাচরণের পক্ষ, নিরহংকারের পক্ষ। Ñআমি চাই না কোনো অহংকারী, দাম্ভিক, চাটুকার, দালাল, মিথ্যাবাদী, অন্যায়কারীর পক্ষ নিতে। আমি বিবেক বর্জন দিয়ে কাজ না করার পক্ষে। আমি অবিবেচকের মতো কেন কাজ করব? আমাকে মহান রাব্বুল আলামিন আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদা দিলেন কেন? আমি অবিবেচক হবো সে জন্য তো নয়? আমি অন্যায়, যুক্তিহীন কাজ করতে চাই না, আর তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গেলে আমাকে সে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় না, তখন আমি কেমন স্বাধীন!! আমি তো অন্যায়কারীর সাথে চাটুকারিতা বা মোসাহেবি করতে এ ধরায় আসিনি। আমি নিগৃহীত মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
অভাগা মানুষ আবার আশায় বুক বাধে আবার নুরুলদিন এক দিন আসবে বাংলায়, রংপুরের নুরুলদিন বলেছিল -‘জাগো বাহে -‘সেই ডাক শুনে আবু সাইদ ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য জেগে উঠেছিল, স্বাধীন দেশে দুহাত তুলে বুক পেতে দাঁড়ানোটা কি তার অপরাধ? তার স্বপ্ন ভেঙে দেয়াটা কি অপরাধ নয়? তাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে কৃত্রিম দুর্যোগ সৃষ্টি করে মেরে ফেলাটা কি অপরাধ নয়? প্রাকৃতিকভাবে মৃত্যুবরণ আমরা মেনে নিতে পারি। কিন্তু কৃত্রিমভাবে মনুষ্য সৃষ্টি মৃত্যু কেন? সৃষ্টিকর্তার বিনা হুকুমে একটি প্রাণ কি কেউ এনে দিতে পারে এই পৃথিবীতে? কত দম্পতি তাদের ১৫-২০ বছরের সংসার জীবনে একটি শিশুর মুখ দেখার জন্য কি আকুতি! সন্তান না থাকার সেই গুমরে গুমরে কান্না তা আমি দেখেছি। আবার কত দম্পতি তাদের প্রতিবন্ধী শিশু নিয়ে সুখে দুখে দিন পার করছে তা-ও দেখি। অসুস্থ মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে লাইন দেয় আরো কিছুদিন বাঁচার আশায় তা-ও আমি দেখেছি।
আর ২০২৪ সালের বাংলাদেশে কেমন করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মেধাবী সন্তানদেরকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেয়া হলো! তা আমি মানতে পারি না। তাহলে কি আমাদের ঘাড়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আজো বসে আছে? আর তাই পাকিস্তানিরা যেমন আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে বুদ্ধিশূন্য করেছে ১৯৭১ এ, আর ২০২৪ এ আমাদের কোমলমতি মেধাবী পরোপকারী শিশুদের খুন করে বুদ্ধি, মেধা, সাহস সব নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং আরো দিতে চেয়েছিল স্বৈরাচারী শাসক।
যাতে কেউ ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে না পারে। অনেক রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতা কি আমাদের এই বর্বরতা শিখিয়েছে! তারা তো পাকিস্তানি, তারা আমাদের নির্বিচারে হত্যা করতে তাদের বুক কাঁপেনি, আমরা তখন পরাধীন ছিলাম, সেই রক্তের দাগ আমরা ৫৩ বছরে এখনও ভুলিনি। আর নিজ দেশের স্বাধীন রাষ্ট্রে বসে একটা আবদার করেছিল রোহিঙ্গা আশ্রয়দাতা মানবতার মায়ের কাছ বাংলার বাঙলা ভাষাভাষী শিশুরা, সেই কথাটুকু শোনার কি সময় হলো না মানবতার মায়ের! তবে কি তার মানবতা সব লোক দেখানো? মানবতা, মমতা, স্নেহ ,ভালোবাসার পরিবর্তে এ দেশের মাটির শিশুরা উপহার পেল আশ্চর্যজনক মৃত্যু! যে মৃত্যু ডাইনি মায়ের বুক কাঁপায়নি। ‘এ কোন মৃত্যু, কেউকি দেখেছে মৃত্যু এমন! শিয়রে যাহার উঠে না কান্না, ঝরে না অশ্রু! “Ñএসব মৃত্যু আমার প্রতি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
রক্তের কাফনে মোড়া সে আমার সন্তান আবরার, আবু সাইদ, তানভীন, মুগ্ধসহ সবাই Ñআমি ১৯৭১ দেখিনি, আমি দেখেছি ২০২৪! পরাধীন দেশেও তো এভাবে নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে আসমান জমিন, ঊর্ধ্ব অধঃ সবজায়গা থেকে মুহুর্মুহু রাইফেলের বুলেট ছোঁড়া হয়নি। মুহূর্তে শত শত লাশ ফেলা হলো কেমন করে! আমরা কার জিম্মায় বাস করছি, এই দেশটাতো সরকারের আমানত। সবচেয়ে বড় আমানত মানুষের প্রাণ। আমানতের জিনিস খেয়ানত করে কেমন করে রাষ্ট্রপ্রধান ঘুমায়? অনেক বিদূষী ও জ্ঞানী আমাদের স্বৈরশাসক! সেকি নজরুলের ওমর ফারুক কবিতা পড়ে নাই? দেশের মানুষের কষ্টে কিভাবে খলিফার প্রাণ কাঁদে..., কিভাবে দেশ চালাতে হয়, দেশকে আগলে রাখতে হয়, দেশের মানুষকে কেমন করে ভালোবাসতে হয়! মানুষ মাত্রই ভুল আছে। কিন্তু সব ভুল কি ক্ষমার যোগ্য! তার পিতাই তো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যা তিনি বারবার উচ্চারণ করতেন। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করা তার ফরজে আইন ছিল। মহান রাব্বুল আলামিন সূরা আল-ইমরানের ২৬নং আয়াতে বলেছেনÑ ‘কুল্লিল্লাহুমা মালিকাল মুলকু তু-তিল মুলকা মানতাশাউ। অতানজিউল মুলকা মিম মানতাশাউ।’ অর্থ ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও।’ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ক্ষমতা দেন আবার কেড়েও নেন। তার ইচ্ছায় সকল কিছু হবে। নতুবা শিক্ষার্থীরা তো হাসিনা সরকারের পতন চায়নি। চেয়েছিল অধিকার। তবে পতন ঘটিয়েছেন উপরওয়ালা। তিনি মহাপরিকল্পনাকারী, যা আমাদের বুঝতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে আমাদের অবশ্যই তা বুঝতে হবে। Ñআমি এবার লজ্জিত পতন দেখেছি, আবার ঈদানন্দের বিজয়ও দেখেছি।
ছোট বেলায় কবিতা পড়েছিÑ আমরা শক্তি, আমরা বল, আমরা ছাত্রদল। কি প্রচণ্ড মনোবল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায়ের পক্ষে লড়েছে তা নিজ চোখে না দেখলে কিভাবে বিশ্বাস করতাম। তাই আল্লাহর নেয়ামতের প্রশংসা করি। ফাবিআইয়্যি আ-লাই রাব্বি কুমা তুকাজ্জিবান। হে আল্লাহ Ñআমরা আপনার অফুরন্ত নেয়ামতের প্রতিনিয়ত প্রশংসা করি এবং কেয়ামত পর্যন্ত প্রশংসা করেই যেত চাই।
তিনি আমাকে পঞ্চ ইন্দ্রীয় দিয়েছেন। তাই আজ আমি সব দেখছি, শুনছি, বুঝতে পারছি। বলেছেন তিনি নাকি কাউকে রাজাকার বলেননি।
তাকেও তো কেউ বাংলা ছেড়ে চলে যেতে বলেনি। সবাই চেয়েছিল ন্যায্য অধিকার। কিন্তু তিনি এই অধিকারটুকু না দিয়ে নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনলেন। একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে ফেলে রেখে চোরের মতো পালিয়েছেন। একজন স্বার্থপর দেশ শাসক! যার নাম ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠায় লেখা হবে অনাগত দিনে। এক দিন দু’দিন করে করে জুলাই ২০২৪-এর ১৪-১৫ দিন চলে গেল। তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল। ঠিক তখনই রংপুরের পুলিশ যখন প্রকাশ্যে আবু সাঈদের শির উঁচু করা, দু’হাত বাড়ানো বুক পেতে দেয়া শরীরে একটি নয় দু’টি নয়Ñ চার চারটি গুলি ছুড়ে তাকে সবুজ মাটিতে লুটিয়ে পড়তে সাহায্য করেছে ঠিক তখনই বাংলার শিক্ষার্থীরা ক্রোধে ফেটে পড়েছে। একজন নিরস্ত্র মানুষ কে চার চারটি গুলি কেন দিলো সেই পুলিশ যাকে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সব দেশের মানুষই বর্তমানে ইন্টারনেটের বদৌলতে দেখেছে। এই প্রত্যক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কোন বিবেকবান স্বাভাবিক মানুষ প্রতারণা করতে পারে না। তার পরও প্রতারণা করেছে স্বৈরশাসক! তাই তাকে আমরা অবশ্যই অবিবেচকের সারিতে দাঁড় করাতে পারি। এই দুঃখ-বেদনা জাতি কি মুখ বুজে সহ্য করতে পারে? পারে না বলেই তারা আবু সাঈদের মৃত্যুরপর একে একে ফাইয়াজ, মুগ্ধ, আসিফ, ফয়সাল, দিপ্ত, সিয়াম, ইয়ামিন, রিয়াসহ অসংখ্য মানুষের বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত দেহের নিদারুণ যন্ত্রণায় দগ্ধ করা মৃত্যুকে মেন নেয়নি। তারা দিয়াশলাইয়ের মতো জ্বেলে উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে নেমে এসেছে মা-বাবা-ভাই-বোন-শিক্ষক-অভিভাবক-আইনজীবী-সাংস্কৃতিক কর্মী-রিকশাওয়ালা-শ্রমজীবী মানুষ। এরপরও পুলিশের হাতে গর্জে উঠে তীক্ষè রাইফেল। পুলিশ ব্যবহৃত হয়, নিরুপায় ব্যবহৃত হয়ে গুলি করে হত্যা করে আবাল বৃদ্ধ বনিতা ও শিক্ষার্থীদের গত ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত। অসংখ্য মানুষকে স্বৈরাচারী নির্বিচারে হত্যা করেছে। এসব মৃত্যুর চিত্র প্রতি রাতে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। আমি চিন্তা করতে পারি নাÑ কেমন করে নিজ দেশের আামানতের মানুষকে গুলি করে হত্যা করার হুকুম দেয়া হয়! আমি সাঈদের মৃত্যুর পর থেকে আজ রাত পর্যন্ত শান্তিতে ঘুমাতে পারি না কেন? শুধু কি আমি! আমার মতো অসংখ্য মানুষ এখন পর্যন্ত ঘুমাতে পারে না। ১৯৭১ দেখিনি, দেখেছি ২০২৪। কবি শামসুর রাহমান অভিশাপ দিয়েছিলেনÑ এতটুকু আশ্রয়ের জন্য, বিশ্রামের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরবে Ñদ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিটি কপাট। আমরা দেখতেছি পৃথিবীর সব কপাট এখন বন্ধ, ঢোকার কায়দা নাই। ২০২৪ এর এত এত নিরীহ মৃত শিশুদের অভিশাপ, আহত সন্তানদের অভিশাপ, হাজার হাজার লাখ লাখ মা-বাবা ভাই-বোনদের অভিশাপ কি আল্লাহর দরবারে পৌঁছেনি? অবশ্যই পৌঁছেছে। ‘একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে Ñসবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্য, হে স্বাধীনতা। ‘অবশেষে এক মাস ৫ দিনের মাথায় ছাত্র-জনতা জীর্ণ জাতির বুকে আশা জাগিয়ে, ভাষা জাগিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে নতুন নিশান উড়িয়ে দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক এই বাংলায় নূতন করে স্বাধীনতা এনে দিলো। এই দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে আমরা হারাতে চাই না। আমরা কুমির তাড়িয়ে বাঘের কবলে যেতে চাই না। আমরা চাই মানবতা, নিরপেক্ষতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সততা, নির্ভয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। মত প্রকাশ করতে গেলে চাকরিজীবী চাকরি হারাবেন না, সাংবাদিক হত্যা হবে না, শিক্ষক চাকরিচ্যুত হবেন না। সেই সুস্থ স্বাধীনতাকে আমরা স্বাগত জানাই। উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে আর যেন ধ্বনিত না হয়।আমার দেশ যেন দালালের আলখেল্লায় ছেয়ে না যায়।
আমার স্বপ্ন যেন লুট হয়ে না যায়, আমার কণ্ঠ যেন বাজেয়াপ্ত না হয়। আমাদেরকে যেন আর কোনো রক্তগঙ্গা দেখতে না হয়। আসুন আমরা নতুন দিনে নতুন আশায় বুক বাঁধি। চারদিকে শত শত ফুল ফোটাতে সাহায্য করি।