কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো দুই কর্মকর্তা হলেন রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান ও রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবদুল বাতেন।
১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানোর কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা–১–এর সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মো. মনিরুজ্জামানকে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)–এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
আর মো. আবদুল বাতেনকে অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকে ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)–এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুতে সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন তীব্রতর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
ঠিকানা/এএস