তুলসী পাতার উপকারিতার কথা কমবেশি সবাই জানে। অনেকের বারান্দা ও ছাদে এ ঔষধি গাছ আছে। তুলসীর পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সাধারণ সর্দি-কাশি সারাতেও তুলসী পাতার ভূমিকা রয়েছে। অনেক উপকারী হওয়া সত্ত্বেও তুলসী পাতা সবার খাওয়া ঠিক নয়। খেলে হতে পারে বিপদ।
যারা তুলসী পাতা খাবেন না
গর্ভবতী নারী: তুলসী পাতার অনেক উপকার থাকা সত্ত্বেও গর্ভাবস্থায় এ পাতা খাওয়া ঠিক নয়। খেলে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে। এ ঔষধি পাতা খেলে জরায়ু সংকুচিত হতে পারে। এমনকি মিসক্যারেজও হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায়, এমনকি স্তন্যদানকারী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিসের রোগী: অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে, তুলসী পাতা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো। কেননা, এ পাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তবে ইতোমধ্যে যে রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ কমানোর ওষুধ খাচ্ছেন, তারা ওষুধের পাশাপাশি তুলসী পাতা খাবেন না। খেলে সুগারের পরিমাণ অনেক কমে যেতে পারে। সুগারের লেভেল পাঁচের নিচে নেমে গেলে যে কোনো সময় স্ট্রোক হতে পারে।
রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবনকারী: তুলসী পাতা রক্ত পাতলা করতে সহায়তা করে। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান না, তারা নির্দ্বিধায় এ পাতার রস খেতে পারেন। তবে যারা নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তারা একইসঙ্গে তুলসী পাতা খাবেন না। খেলে বিপদ হতে পারে। এমনকি যে কোনো সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে থেকে এ পাতা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। নয়তো অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপ: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা তুলসী পাতা খেলে উপকার পাবেন। যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা এ পাতা এড়িয়ে চলুন। কেননা, এ ভেষজে আছে পটাশিয়াম। বেশি পরিমাণে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
অন্যান্য শারীরিক সমস্যা: অধিক পরিমাণে তুলসী পাতা খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা যেমন লিভারের ক্ষতি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি হতে পারে। কিছু গবেষণা বলছে, বেশি পরিমাণে তুলসী পাতা খেলে উর্বরতা শক্তি কমে যেতে পারে। তাই একসঙ্গে বেশি পরিমাণে তুলসী পাতা খাবেন না। খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েব এমডি
ঠিকানা/এএস