নির্বাচনী এক প্রচারণা সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি ইরানকে দায়ী করেছেন। মার্কিন সংবাদ আউটলেট পলিটিকোকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওই অনলাইন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ট্রাম্পের রানিং মেট ওহাইও সিনেটর জেডি ভ্যান্সের অভ্যন্তরীণ গবেষণা সহ প্রচারাভিযান নথিগুলো হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। রিপাবলিকান দলের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছে, নথিগুলো ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশী উৎস থেকে অবৈধভাবে ওই নথিগুলো হ্যক করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে বিবিসি স্বাধীনভাবে হ্যাকের বিষয়টি যাচাই করতে পারেনি।
ডনাল্ড ট্রাম্পও তার সমাবেশে ইরানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো প্রমাণ উল্লেখ করেননি। নথি হ্যাকের বিষয়ে মাইক্রোসফটের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ট্রাম্প নথি হ্যাকিংয়ে ইরানের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করলেন। জুন মাসে ইরানি হ্যাকারদের দ্বারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রচারণাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল বলে খবর প্রকাশ করেছিল মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির থ্রেট অ্যানালাইসিস সেন্টার (এমটিএসি) জানিয়েছে, প্রচারণা সমাবেশটিকে একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছিল।
গত কয়েক মাস ধরে ইরানের বেশ কয়েকজনের উল্লেখযোগ্য প্রভাবমূলক কার্যকলাপের উত্থানের বিষয় নজরদারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ট্রাম্পের প্রচারণা দলের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং মাইক্রোসফটের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখিত হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ট্রাম্পের প্রচারণাভিযানের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানিরা জানে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম সময়ের মত এবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে কাজ করবেন। পলিটিকো নামের ওই নিউজ আউটলেটটি বলেছে, ওই নথিটি ২৭১ পৃষ্ঠা দীর্ঘ যাতে অতীতের বেশ কিছু বিষয়ের রেকর্ড রয়েছে। হ্যাকারদের প্রেরিত ইমেইলে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মার্কো রুবিও সম্পর্কে একটি গবেষণা নথির অংশও পাঠিয়েছে।
ঠিকানা/এসআর