Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 

শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা

শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ছবি সংগৃহীত





 
বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে তারা শপথ নেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা শপথ গ্রহণের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকায় আজ শপথ নিতে পারেননি বলে শপথ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

বাকি উপদেষ্টারা হলেন

১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. ফরিদা আখতার
১১. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১২. নূরজাহান বেগম
১৩. শারমিন মুরশিদ

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে তিনি তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এর আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।

তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, গত কয়েক দিনে দেশের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো ষড়যন্ত্র। এটাকে রোধ করতে হবে। তাদের লাঠিপেটা করলে হবে না। সহিংসতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিহিংসামূলক কাজ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন, তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।

নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশবাসী আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না। তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যে জন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। এ সময় তিনি তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স