যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওয়াশিংটনে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির একদণ নেতা-কর্মী এবং নিউইয়র্কে বিএনপি ও আন্দোলনরত কদল প্রবাসী ছবি নামিয়ে ফেলেন।
৫ আগস্ট সোমবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে শেখ হাসিনার ছবি নামানোর অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত তাদের অনুরোধে ছবি ফেলেন। এসময় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। এসময় বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পরিহিত হন। এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, গত ১৫-১৬ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীরা দূতাবাসে আমন্ত্রণ পাননি।
এদিকে ৫ আগস্ট সোমবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলেন আন্দোলনরত একদল প্রবাসী। তারা কনসাল জেনারেলের কক্ষে ঢুকে প্রথমে শেখ হাসিনার ছবি নামানোর জন্য বলেন। এসময় কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদার সামনেই তারা ছবি নামিয়ে ফেলেন। এরপর তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি নামাতে গেলে কনসাল জেনারেল তাদের সরকারি আদেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামানোর সরকারি আদেশ এসেছে। এখনো বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানোর কোনো আদেশ তারা পাননি। কিন্তু কনসাল জেনারেলের অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রবাসীরা নিজ হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কিছু বই সরিয়ে ফেলেন।
এদিকে ভারত থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে এ ঘটনাকে হামলা বলে উল্লেখ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনা হয়েছে। সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেয়াল থেকে নামানো হয়।
ইউটিউবের একটি ভিডিও’র উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ওই ভবনে প্রবেশ করে দেয়াল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নামিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে আরো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কনস্যুলেটে কেন হামলা হলো তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, মাথায় বাংলাদেশি পতাকা পেচানো কিছু বিক্ষোভকারী কনস্যুলেটে হট্টগোল করছে এবং কেউ কেউ কিছু বই সরিয়ে ফেলছে।
ব্যাপক শিক্ষার্থী ও গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান। তিনি গণভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে উড্ডয়ন করেন। বর্তমানে তারা ভারতে রয়েছেন।