Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

তারেক রহমানের বন্ধু মামুন, অপুসহ ২৫০০ নেতাকর্মীর জামিন

তারেক রহমানের বন্ধু মামুন, অপুসহ ২৫০০ নেতাকর্মীর জামিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সাবেক পিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। 

এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আড়াই হাজার আসামি কারামুক্ত হয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। 

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে গিয়াস উদ্দিন মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন।

তাঁর আইনজীবী হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, জামিনকৃত মামলা ছাড়া অন্য মামলায় সাজার চেয়ে বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। তাই তাঁর কারামুক্তিতে বাধা ছিল না।  
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়। ২০১৩ সালে এক মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয় মামুনের। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

তারেকের সাবেক পিএস অপু কারামুক্ত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এতে পাঁচ বছর সাত মাস কারাগারে থাকার পর তিনি কারামুক্ত হলেন। 

তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘দুটি মামলায় আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তিনি কারামুক্ত হয়েছেন।’ 
মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তিনি হামলার শিকার হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই বছরের ৪ জানুয়ারি রাজধানীর হাসপাতাল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-১-এর সদস্যরা। 

ঢাকায় গ্রেপ্তার ২৩৫০ জনের জামিন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই হাজার ৩৫০ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত। 

৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। রংপুরে গ্রেপ্তার ২১৬ জন এবং বগুড়ায় ১০৭ জন জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর আসামিদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। 

জামিন পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব ও সদস্যসচিব মো. আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, যুবদলের সাবেক নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জামায়াত নেতাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স