গাজীপুরের শ্রীপুরে বিজিবি গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন।গুলিবিদ্ধ অন্তত ৫০ জনসহ আহত হয়েছে শতাধিক। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাওনা উড়াল সেতুর উত্তর পাশে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৫ আগস্ট (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ৮০ জনের মত বিজিবি বর্ডার গার্ড সদস্য ঢাকা যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা ওই স্থানে তাদের আটকে দেয়।
আন্দোলনকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে ছয়জন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় ৫০ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত পৌঁনে ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ আহতরা হাসপাতালে আসছে।
নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মৃত আসাদের ছেলে সিফাতউল্লাহ (২২), শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগারচালা গ্রামের শুক্কুর আলমের ছেলে শরীর আহমেদ (২০), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে কাওসার (২৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল মৃধাসহ (৩০) অজ্ঞাত নামা দুইজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে- আজাহার (৩০), ফারুক (২৬), মারুফ (১৯), ইদ্রিস (৩০), রিয়াজ (২৪), স্বপন (৩৫), বাবুল (২১), জাকির (৫২), শামীম (৩০), রায়হান (২৮) নাম জানা গেছে।
মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘এ পর্যন্ত হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়াও অপর দুজনের পরিচয় সনাক্ত হয়নি। এছাড়াও একজনের মরদেহ উপজেলা মাওনা এলাকায় তার আত্মীয় আরিফ সরকারের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ ২২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আলহেরা হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে গুলিবিদ্ধ ২২ জনসহ ৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জারিন ফারা বলেন, ‘বিকেলের দিকে চারজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে।
ঠিকানা/এএস