নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে বরিশালে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও এখনও দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
চার মাস আগে নথুল্লাবাদ বাস টামিনাল থেকে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর গ্রুপকে হটিয়ে দখলে নেন শ্রমিক লীগ নেতা আফতাব আহমেদ। মূলত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নার দখলে ছিল এ টার্মিনাল। আফতাব দখলে নেয়ার পর একে এক সাদিক অনুসারীদের বাদ দেন বাস মালিক সমিতি থেকে। কিন্তু ৩ দিন আগে বরিশালের শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় পরিমলকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদ মান্নাকে। এ সংবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নথুল্লাবাদ এলাকা।
গতকাল এক বিবৃতিতে আফতাব আহমেদ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। আজ সকালে নথুল্লাবাদ এলাকায় নতুন কমিটি লিটন মোল্লার নেতৃত্বে বাস মালিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে।
অভিযোগ ওঠে এ সংবাদ সম্মেলনে হামলা চালায় আফতাব সমর্থকরা। তবে আফতাব সমর্থকদের দাবি, তারা মালিক সমিতির অফিসে আলোচনা করার সময় লিটন মোল্লা গ্রুপ তাদের ওপর হামলা করে। মুহূর্তে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
আফতাব আহমেদ বলেন, যে কোন কমিটি গঠনের আগে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তারপর কাউন্সিলে সদস্যদের ভোটে বা মতামতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়। এখানে গোপনে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এ কমিটিতে শ্রমিকদের চেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আধিক্য বেশি। এ কমিটি তারা মানেন না বলে জানান।
অপর দিকে লিটন মোল্লার সমর্থকরা জানান আফতাব এখন আর শ্রমিক লীগের সভাপতি নেই। তিনি দীর্ঘদিন পদ আকড়ে আছেন। নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়ার পর তারা আজ সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের ওপর হামলা হয়।
ঠিকানা/এসআর