ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে তার বাসভবনের বাইরে থেকে ছোড়া একটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। ৩ আগস্ট (শনিবার) এই ঘটনার তদন্ত শেষে এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। খবর আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে হানিয়ার বাসভবনে একটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এটি তার বাসবভনের বাইরে থেকে ছোড়া হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রে প্রায় সাত কেজি বিস্ফোরক পদার্থ ছিল। এখন পর্যন্ত পরিচালিত তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য সঠিক সময় ও সঠিক জায়গায় ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপরাধী সরকার’ এই হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে বলেও অভিযোগ করেছে ইরান।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারিয়েছেন। ৩১ জুলাই (বুধবার) সকালে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও হামাসের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান ও হামাস। যদিও এই হামলার দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেনি তেল আবিব।
২ আগস্ট (শুক্রবার) কাতারের রাজধানী দোহায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে হানিয়াকে এই শহরের উত্তরে লুসাইলের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার আগে ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এই জানাজায় ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি।
ঠিকানা/এএস