Thikana News
২৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছবি সংগৃহীত



 
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী হত্যার সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে এক অজ্ঞাত স্থান থেকে অনলাইনে গুগল মিট প্ল্যাটফর্মে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক মাহিন সরকার এবং সহ-সমন্বক রিফাত রশিদ।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা বলেন, ভয় ও আতঙ্কে সরাসরি সংবাদ সম্মেলন করতে পারছেন না তারা। তাড়া খেয়ে একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে তারা সংবাদ সম্মেলন করছেন। বেশ কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না বলে জানান তারা।

আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে সোমবার থেকে তারা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে কমিশন গঠন করে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।

তিনি বলেন, রোববার সারা দেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া গণহত্যার চিত্রগুলো অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচার করা হবে এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র, সংস্থাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

মাসুদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ২৬৬ জনের হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছি। তার মধ্যে ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা ধারণা করছি, ১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে অজ্ঞাত ও মিথ্যা হামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাসায় বাসায় এবং মেসে গিয়ে ছাত্র পরিচয় পেলে আটক করা হচ্ছে। প্রায় হাজারের ওপর মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

সংবাদ সম্মেলনে সহ-সমন্বক রিফাত রশিদ বলেন, প্রজ্ঞাপন দিলেও আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। আমরা প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাপন খেলা আর চাই না। চেয়েছি স্থায়ী সমাধান, সংসদে আইন পাস। আমরা এখনো বলছি শিক্ষার্থীদেরসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন পাস করতে হবে।

রিফাত আরও বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন এবং সমন্বয়কদের তুলে নেওয়ার কারণে আমরা একসঙ্গে হতে না পারার জন্য ৮ দফা, ৯ দফা এসেছে। তবে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে। পরবর্তীতে আমরা একসঙ্গে হয়ে নতুন করে দফা এবং কর্মসূচি ঘোষণা করার চেষ্টা করব। এত মানুষ হত্যা করার পরও সরকার দুঃখ প্রকাশ করছে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। সে কারণে আমাদের আন্দোলনও চলবে।

আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী উসকানিমূলক বক্তব্য দিলেও আমরা সে ফাঁদে পা দিইনি। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয়ে যায়। অনেক সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হত্যা চালানো হয়। আমাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। তাই আমরা প্রতিরোধ চালিয়ে যাব।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স