সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২১ জুলাই নুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।
আবেদনে বলা হয়, ভিপি নুর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের আট দফা কর্মসূচি লিখে দেন। এ আন্দোলনকে ঘিরে পরবর্তী ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
শুনানিকালে নুরকে এজলাসে তোলা হয়। তখন নুর দাঁড়াতে পারছিলেন না। এ সময় আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে রিমান্ডে নিয়ে নুরকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন তারা। শারীরিক অবস্থা ও সার্বিক বিবেচনায় তারা জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তার লুনা ও বাবা ইদ্রিস হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তারা নুরের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, মিনিবাসসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।
ঠিকানা/এনআই
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 ঠিকানা অনলাইন
 ঠিকানা অনলাইন  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
