Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ  সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী



 
# রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, চেকপোস্টে তল্লাশি
# ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস-ট্রেন 
# বেড়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথে যাত্রীর চাপ 
# খেটেখাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সহিংসতায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে সারা দেশে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি কারফিউ জারি করে সরকার। কারফিউ চলাকালে টানা তৃতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ সতর্ক প্রহরায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ও সাইনবোর্ড এলাকায় কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও অন্য কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল থাকায় জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই রাস্তায় নেমেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক থাকলেও অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লার অলিগলির দোকানপাট খোলা থাকায় উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কারফিউর তৃতীয় দিনেও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সেনা সদস্যরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ-র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা। তবে এখনো ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন। ঢাকার বাইরে ঘুরতে এমনকি জরুরি প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আটকে পড়েছেন পর্যটকসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। অনেকেই অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলরত বিভিন্ন বিমানে আকাশপথে ঢাকায় ফিরছেন-যাচ্ছেন। তবে আকাশপথের যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় গতকালও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বস্তিতে থাকলেও খেটেখাওয়া মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে তাদের এমন দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি সরকার। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। সেই ক্ষোভ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দাবি আদায়ে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে। শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ আন্দোলন চালু হলেও পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। চলে ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ। সময় যত গড়াতে থাকে দাবি আদায়ে ততই শক্ত অবস্থান গড়তে শুরু করে কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে মাঠে নামে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল ঢাবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তখন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নানা ঘটনা প্রবাহের একপর্যায়ে তা স্তিমিত হয়ে এলেও কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বক্তব্যে পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি চীন সফর নিয়ে গত ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের কিছুই করার নেই। এরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কোটা সংস্কারের একদফা দাবি আদায়ের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করে। কোটা ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেয় ছাত্রলীগ। এ নিয়ে ছাত্রলীগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থানে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত ১৫ জুলাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর। এতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৬ জুলাই রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ ৭ জনের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে স্কুল-কলেজের কোমলমতি খুদে শিক্ষার্থীসহ বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় গত ১৭ জুলাই দেশের সব বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে ইউজিসি। একইদিন দেশের সব বিশ^বিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। ওই নির্দেশনার পর অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে হল ছেড়ে দিলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তারা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। রাতভর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেমে থেমে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও সংঘর্ষ। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি উত্তরণে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা জরুরি বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাজপথে শক্ত অবস্থানে থাকে। এতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। গত ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংসতায় ৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপরই তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধানমন্ডি, মিরপুর, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে দিনভর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কোটা ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াতসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলন চলে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ জুলাই দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, কারফিউ চলাকালে কেউ সহিংসতার সৃষ্টি করলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষার্থে দষ্কৃৃতকারীদের দেখামাত্র গুলি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা করা হবে। 
এদিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারফিউ জারির তৃতীয় দিনে গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ড, কদমতলী ও ঢাকা-চিটাগাং রোডে সেনাবাহিনী-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক প্রহরার কারণে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কোটা ইস্যুকে পুঁজি করে জামায়াত-বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীসহ দুষ্কৃতকারীরা রাস্তায় নামার চেষ্টা করলেও তা পণ্ড করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুর ব্রিজ মার্কেটের মোবাইল দোকানগুলো চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া লালবাগসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা ও অলিগলিতে দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়। এতে বিভিন্ন এলাকায় শত শত মানুষ রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় করে আড্ডাবাজি ও কোটা ইস্যুতে সরকারবিরোধীরাও জটলা পাকিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। ঢাবি ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, বাড্ডা ও রামপুরা, পল্টন, সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, শিক্ষাচত্বর, কদমফোয়ারা, হাইকোর্ট, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলার মোড়, মতিঝিল শাপলা চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সেনা সদস্যরা। একই সঙ্গে চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রী-পথচারী ও যানবাহনও তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ের সংঘর্ষ-ধ্বংসযজ্ঞে এখনো বন্ধ রয়েছে সব ধরনের মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জানমালের নিরাপত্তায় বন্ধ রয়েছে রেল ও সড়কপথের বাস-ট্রেন চলাচল। এতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বেড়াতে যাওয়া হাজারো পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আটকা পড়েছেন। তবে দীর্ঘদিন আটকে থাকায় অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলরত বিমানযোগে আকাশপথে ঢাকায় ফিরছেন এবং যাচ্ছেন। এ রুটের যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষ টিকিট সংকটসহ নানান অজুহাতে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতেও বেশি ভাড়া আদায় করছে। এদিকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় সরকারি অফিস বন্ধের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বস্তিতে থাকলেও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরো চরমে পৌঁছেছে। গতকাল দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল থাকায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই নিকটস্থ কাঁচাবাজারে ভিড় করেন ও বাধ্য হয়ে ক্রেতারা ঊর্ধ্বমূল্যে খাদ্যসামগ্রী কেনাকাটা করেন। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশায় চড়ে গন্তব্যে ছুটে যান। এসময় রাজধানীর অধিকাংশ সড়কই ছিল সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও পায়ে চালিত রিকশার দখলে। নগরীর নিম্নআয়ের সাধারণ জনগণ জানান, এই অস্থিরতা তাদের ক্ষুধার জ্বালা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়, তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে তাদের রুটি-রুজির পথ। কাজ করতে না পারলে খাবেন কী? এমন প্রশ্নও করেছেন অনেকে।            
 

কমেন্ট বক্স