Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামছে ছাত্রদল

কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামছে ছাত্রদল


সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থায় সংস্কার আনার দাবিতে এবার মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার পর এবার ছাত্রদলের এমন ঘোষণায় নতুন মাত্রা যোগ হলো আন্দোলনে। ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন রাজপথে নামার এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের নামে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিংসাত্মক কটূক্তি করেছেন। তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

রাকিব বলেন, ‘রাজপথে থেকে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আজ থেকে মাঠে থাকবে ছাত্রদল।’

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কটূক্তি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৭ জুলাই (বুধবার) দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবে ছাত্রদল। তবে ছাত্রদল নেতারা বলেন, নিজেদের ব্যানারে এ আন্দোলনে কোন কর্মসূচি দেবে না তাদের সংগঠন।

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসগুলো। প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীরা। এতদিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়ে এলেও ছাত্রলীগ মাঠে নামায় সহিংস রূপ ধারণ করেছে আন্দোলন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার একই সময়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রলীগ ও আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মাঠে নামার ঘোষণা দিলো ছাত্রদলও।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে সরকার। কিন্তু সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল’ অংশটি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে ৪ জুলাই। রিট আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়ে আরজি জানালে সেদিন আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গত ৯ জুলাই আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী।

দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ১০ জুলাই আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। কিছু পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেওয়া হয়। এই স্থিতাবস্থা চার সপ্তাহের জন্য উল্লেখ করে আপিল বিভাগ আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

তবে আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ১৪ জুলাই (রবিবার) বিকেলে সরকারি চাকরিতে `বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে’ এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়ায় পর থেকেই ফেসবুকে ছড়াতে থাকে, ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতি-নাতনি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়ে রাতভর বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পরদিন ১৫ জুলাই (সোমবার) দুপুরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স