Thikana News
০৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

এসিবিএসপি টিচিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করলেন আব্দুল্লাহ এম খান

এসিবিএসপি টিচিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করলেন আব্দুল্লাহ এম খান



 
আহমেদ সাকলায়েন, সাউথ ক্যারোলাইনা : সাউথ ক্যারোলাইনার ক্ল্যাফলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বাংলাদেশী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মাহবুবুজ্জামান খান সম্প্রতি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ফর বিজনেজ স্কুল অ্যান্ড প্রোগ্রামস (এসিবিএসপি)-এর টিচিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি এসিবিএসপি’র রিজিয়ন-৩ এর আন্ডার গ্রাজুয়েট অ্যান্ড গ্রাজুয়েট টিচিং ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, এসিবিএসপি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম কোনো সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়কি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে। সংস্থাটি সহযোগী থেকে ডক্টরেট পর্যন্ত কলেজিয়েট ব্যবসায় শিক্ষাগত ডিগ্রি প্রোগ্রামের সমস্ত স্তরে বাল্ডরিজ মানদণ্ডের ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উপলক্ষে এক ফেসবুক পোস্টে সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে ‘একটি শিশুকে বড় করতে প্রয়োজন একটি গ্রামের’ বিশেষ এই প্রবাদটি উল্লেখ করে বলেন, একজন শিক্ষককেও ভালো থেকে আরো ভালো হয়ে ওঠার যে যাত্রা সে ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। সেই সাথে তিনি তার সব গ্রামবাসী, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী, বর্তমান, প্রাক্তন ছাত্র, সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি হিউবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপ নিয়ে ২০০০ সালে পেনসেলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটতে এক বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মূলতঃ সে উদ্দেশ্যেই তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে আসা। এ সময় তিনি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন। এ পর্যায়ে দেশে ফেরার আগে ওয়েস্টার্ন কেন্টাকি ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ-র জন্য আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ তার আবেদন মঞ্জুর করলে ২০০১ এর ফলে পুণরায় আমেরিকা ফিরে আসেন। সফলভাবে এমবিএ সম্পন্ন করে জর্জিয়া স্টেট ইউনির্ভাসিটিতে অর্থনীতিতে ডক্টরেট শুরু করেন। ডক্টরেট সম্পন্ন হলে কেনেস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে ২ বছর শিক্ষকতা করেন।
২০১২ সালের ফল থেকে সাউথ ক্যারোলাইনার ক্ল্যাফলিন ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি বিভাগের সহকরী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক এবং অতি সম্প্রতি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত বন্ধু-বৎসল অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বর্তমানে স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানের সাথে সাউথ ক্যারোলাইনার লেক্সিনটনে বসবাস করেন।
দাদার বাড়ি নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলায় হলেও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ নানাবাড়ি বগুড়ায় ১৯৬৭ সালের অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন। সাব-রেজিস্টার বাবার চাকরির বদলিজনিত কারণে ছোটবেলা কেটেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তবে বগুড়া জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস-এ উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে অধুনালুপ্ত চিত্রালী, বিচিত্রা, দেশদশ এবং অর্থকথা পত্রিকায় সাংবাদিকতার সাথেও যুক্ত ছিলেন।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ তার সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি উপলক্ষে অতি সংক্ষিপ্ত অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, যে কোনো প্রাপ্তিই যেমন আনন্দেও, তেমনি স্বীয় দায়িত্বে আরো বেশি নিষ্ঠাবান হওয়ার তাগিদ হয়ে কাজ করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই।
ভবিষ্যৎ ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, জীবনের বাকিটা সময় শিক্ষকতা পেশাতেই নিয়োজিত থাকতে চাই। মানব জীবনে প্রযুক্তি, বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।
সেই সাথে ঠিকানার পাঠকদেরও এ বিষয়ে সম্যক ধারণা প্রদান ও আর্থ-সামাজিক নানা বিষয়ে অবহিত করার ইচ্ছে পোষণ করেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মাহবুবুজ্জামান খান।

কমেন্ট বক্স