আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ। তারা বলেছে, ট্রাম্প কথায় ও কাজে বিপজ্জনক। তিনি দেশের চেয়ে নিজেকে প্রাধান্য দেন।
রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পরিষদ। এতে বলা হয়, আট বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। একসময়ের একটি মহান রাজনৈতিক দল এখন এক ব্যক্তির (ট্রাম্প) স্বার্থে কাজ করছে। ট্রাম্প এমন এক ব্যক্তি, যিনি স্পষ্টত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য। যেসব বিষয় এই দেশকে মহান করেছে, তার অনেক কিছুর সরাসরি বিরোধী তার মূল্যবোধ, মেজাজ, ধারণা ও ভাষা।
আগামী সপ্তাহে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন। এতে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিষদ মনে করে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে বাছাইয়ের বিষয়টি হতাশাজনক। বিশেষ করে, দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বলে আসছে, তারা দেশ পরিচালনা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
করোনা মহামারি-পরবর্তী মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক স্থবিরতা অনেক ভোটারকে আরও হতাশ করে তুলেছে। পরিষদ উল্লেখ করেছে, রিপাবলিকান পার্টি একসময় সমস্যা সমাধানে নির্বাচনী ক্ষমতা কাজে লাগাত। এ ক্ষেত্রে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ, জন ম্যাককেইন, মিট রমনির নাম উঠে এসেছে।
পরিষদ বলছে, এসব মূল্যবোধ সম্পর্কে দলটির ধারণা, তার দীর্ঘস্থায়ী রক্ষণশীল নীতি অ্যাজেন্ডায় প্রতিফলিত হয়েছিল। বর্তমানে অনেক রিপাবলিকান অভিবাসন, বাণিজ্য ও কর বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত নন।
পরিষদ জানিয়েছে, ট্রাম্প এমন চরিত্র, যিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের অনুপযুক্ত। তিনি সংবিধান, আইনের শাসন ও মার্কিন জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ়প্রত্যয়সূচক দৃষ্টিভঙ্গি তার মধ্যে নেই। বরং তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার তৃষ্ণায় উদ্দীপিত।
এর আগে সোমবার পরিষদের বিষয়বস্তু ছিলেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ডেমোক্রেটদের হোয়াইট হাউস ধরে রাখার সর্বোত্তম আশা হলো বাইডেনের সরে দাঁড়ানো। গত মাসে আটলান্টায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের বিপর্যয়কর বিতর্কের পর তিনি ‘পতনশীল ব্যক্তি’ হিসেবে উপস্থিত হতে থাকেন।
ঠিকানা/এনআই