ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া ৫ নারীর ওপর হঠাৎ হামলা করে এক যুবক। যুবকের ধারালো দায়ের কোপে ২ নারী নিহত এবং অপর ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৯ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ছাবর বাড়ি সংলগ্ন রেললাইনের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন আরজুদা (৫০) ও রাবেয়া বেগম (৫৫)। তাদের মধ্যে আরজুদা দুপুরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং রাবেয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহতরা হলেন খালেদা বেগম (৪৪), সাজেদা বেগম (৫২) ও নয়ন মনি (১৪)।
নিহত ও আহতরা ভাদুঘর এলাকার বাসিন্দা এবং একে অপরের প্রতিবেশী। রেললাইনের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তারা হামলার শিকার হন। হামলা থেকে তাদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন একই গ্রামের মোখলেছ (৪৫)।
হামলাকারী শিহাব একই এলাকার বাসিন্দা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে রেললাইন-সংলগ্ন জলাশয় থেকে তুলে এনে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসাইন বলেন, শিহাব প্রকাশ্য জনসমক্ষে উদ্দেশ্যহীনভাবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আটকের পর তাকে পুলিশি হেফাজতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রামবাসী জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন শিহাব রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। নারীদের উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করে। আজ কয়েকজন নারীকে একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখে তাদের ওপর চড়াও হয় শিহাব। হাতে থাকা দা দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে। পরে সে রেললাইন সংলগ্ন জলাশয়ে নেমে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
হামলার ঘটনার পর থেকে শিহাবের পরিবার পলাতক আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, শিহাবের বাবা জামাল মিয়া শহরের সমবায় মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী।
ওসি এমরান হোসাইন বলেন, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
ঠিকানা/এনআই