Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবার সুনামি!৪ বঙ্গ নারীর ব্রিটেন জয়

লেবার সুনামি!৪ বঙ্গ নারীর ব্রিটেন জয়


নবাব উদ্দিন (লন্ডন): লেবার সুনামি! স্টারমার বিপ্লব! সোশ্যাল আর্থকোয়েক- সব বিশেষণই ব্রিটিশ লেবার পার্টির জন্য প্রযোজ্য। ইতিহাসে মাইলফলক জয়ে তারা ক্ষমতায় ফিরেছে। এ নিয়ে ব্রিটিশসহ বিশ^ মিডিয়াগুলো এমনই বিশেষণে অভিহিত করছে লেবার পার্টিকে এবং এই পার্টি থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারকে। রাজা চার্লস তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার পর ব্রিটেনকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দেশে পরিবর্তন আনার। পরাজয় মেনে নিয়ে স্টারমারকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঋষি সুনাকও। সুনামি যেমন সামনে যা কিছু পায় তা-ই ভাসিয়ে নেয়, স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি যেন তেমনটাই করেছে। তারা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভদের ভাসিয়ে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে লেবার পার্টি। তারা হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে।
অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে মাত্র ১২১ আসন। দলটি আগের চেয়ে ২৫০ আসন কম পেয়েছে। আর ২১১টি আসন বেশি পেয়েছে লেবার পার্টি। এর মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভরা ভয়াবহ এক পরাজয় স্বীকার করেছে। আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি জয় পাবে। কিন্তু তারা যে রেকর্ড সৃষ্টি করে এত বড় ব্যবধানে জয় পাবে, তা অনেকেই ভাবেননি।
লেবার সুনামিতে ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে উত্থান হয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের। দলটি এবার ৭১টি আসন পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছে। গত নির্বাচনে তারা মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছিল। নির্বাচনে বড় পতন ঘটেছে স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি বা এসএনপির। তারা পেয়েছে মাত্র ৯টি আসন, যা গত নির্বাচনের চেয়ে ৩৮টি কম।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেকোনো দলকে এককভাবে ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। ৫ বছর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর এটি লেবার পার্টির জন্য এক ভূমিধস জয়। ৯৮টি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ হাজার ৫১৫ প্রার্থী। এর মধ্যে ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৪৫৯ জন।
পরিবর্তনের ডাক দিয়ে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছে গেছেন লেবার নেতা কিয়ের স্টারমার। ৫ জুলাই শুক্রবার রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে সরকার গঠনের অনুমতি নিয়ে সোজা ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এসে সংবাদমাধ্যমকে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে গিয়ে আবারও পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন স্টারমার। সেদিনই গঠন করেছেন তার মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে হয়তো তিন সপ্তাহ লাগতে পারে স্টারমারের। এর পর থেকেই টোরিদের রেখে যাওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তাকে।
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ড নামে চার রাজ্য নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্যে বিরাজমান বহু সংকট ও সমস্যার মধ্যেই প্রথম ভাষণে রাষ্ট্র মেরামতের এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য, কীভাবে তিনি তা করতে চান; এসব বিষয়ে এখন অনেকের কৌতূহল জন্ম নিচ্ছে।
এদিকে ওই নির্বাচনে এবার ব্রিটেন জয় করেছেন ৪ বঙ্গ নারী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই চার প্রার্থীর প্রত্যেকেই পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই বিরোধী লেবার পার্টির প্রার্থী। টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক। এই আসনে বিপুলসংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটন আসনে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন ড. রূপা হক। আর পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন আফসানা বেগম। শুধু তা-ই নয় চার বঙ্গ নারীর দুজন- রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদের ইতিহাসে প্রথম মন্ত্রী হলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুই এমপি।
রুশনারা আলী : যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী। যুক্তরাজ্যের হাউজিং কমিউনিটি এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে টানা পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি। রোশনারা আলী যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছিলেন। রুশনারা আলী মন্ত্রী হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল, তাই কিয়ের স্টারমারের প্রথম ক্যাবিনেটে নাম না আসায় বাঙালি কমিউনিটি বেশ আশাহত হয়েছিল।
লেবার পার্টি থেকে ১৫ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন রুশনারা আলী। টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে মাত্র ১ হাজার ৬৮৯ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুর পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৭ ভোট। ৪ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী রাবিনা খান। এ আসনের অপর দুই স্বতন্ত্র বাংলাদেশি প্রার্থী স্যাম উদ্দীন ৩২৫ এবং মো. সুমন আহমদ ৩১৫ ভোট পেয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুশনারা আলী। এরপর তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। রুশনারা আলীর জন্ম সিলেটে। তার বয়স যখন সাত বছর, তখন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায় তার পরিবার। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক : যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী হয়েছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধান করবেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ব্লুমবার্গ জানায়, ব্রিটিশ সরকার এখনো টিউলিপের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। নগরমন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ বিম আফোলামির উত্তরসূরি হবেন। আগের কনজারভেটিভ সরকারের আমলে এইচএসবিসির সাবেক ব্যাংকার বিম নগরমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ। হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়েছেন টিউলিপ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট পান। এটি লেবার পার্টির হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয় টিউলিপের।
২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অব ফিন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিকের আর্থিক সেবার জন্য নীতিমালা তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন টিউলিপ। তিনি ২০১৫ সালে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৭ সালে ও ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই আসন থেকে জয়লাভ করেন তিনি। গত দুই মেয়াদে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি হিসেবে ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন টিউলিপ। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্নের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। টিউলিপ ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৫ বছর বয়স থেকে হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্নে বসবাস করছেন। তার স্কুলজীবন এ এলাকায় কাটলেও লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. রূপা হক : লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটন আসনে লেবার পার্টির মনোনয়নে ড. রূপা হক ২২ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৪৬.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জেমস উইন্ডসর ক্লাইভ পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ ভোট। লেবার পার্টির মনোনয়নে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন রূপা হক। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তাকে সর্বদলীয় সংসদীয় মিউজিক গ্রুপের ভাইস চেয়ার এবং ক্রসরেলের সর্বদলীয় সংসদীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে ৫২ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ বাংলাদেশি কন্যা লন্ডনের কিংস্টন বিশ^বিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে শিক্ষকতা করতেন। কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে সর্বশেষ সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এই কলামিস্ট ও লেখক। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে আসা মোহাম্মদ হক ও রওশন আরা হক দম্পতির তিন কন্যার মধ্যে বড় রূপা হক। তার বাবার বাড়ি পাবনা শহরের কুঠিপাড়ায়। সাদামাটা জীবনযাপন ও বিনয়ী ব্যবহারের জন্য সবার প্রিয়পাত্র তিনি।
আফসানা বেগম : পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আফসানা বেগম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন পার্টির নাথালি বেইনফিট ৫ হাজার ৯৭৫, কনজারভেটিভ পার্টির ফ্রেডি ডউনিং ৪ হাজার ৭৩৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসানার প্রাক্তন স্বামী এহতেশামুল হক ৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়েছেন। পূর্ব লন্ডনের অপর আসনটিতে গতবার লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিরোধিতার মুখেই লেবারের মনোনয়ন পান এবং নির্বাচনে জয়ী হন আফসানা বেগম। টাওয়ার হ্যামলেটসের শ্যাডওয়লে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাংলাদেশে তার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। আফসানার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর ছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার এমপির মধ্যে আফসানাই বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সবচেয়ে বেশি সময় দেন। জয়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘পুনর্নির্বাচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
অল্প ভোটের ব্যবধানে হারলেন যেসব বাংলাদেশি : লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী রুফিয়া আশরাফ ও রুমি চৌধুরী। যে আসনগুলোতে তারা হেরেছেন, সেগুলো কনজারভেটিভের দুর্গ ও ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। সাবেক মেয়র রুফিয়া আশরাফ সাউথ নর্থামটনশায়ার আসনে ১৫ হাজার ৫০৪টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। এই আসনে ১৯ হাজার ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির সারাহ বুল। উইথাম আসনে কনজারভেটিভের তারকা প্রার্থী প্রীতি প্যাটেল ১৮ হাজার ৮২৭টি ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ১৩ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন কাউন্সিলর রুমি চৌধুরী। এ ছাড়া লেবার পার্টির প্রার্থী নাজমুল হুসাইন ব্রিগ ও ইমিংহাম আসন থেকে ১২ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ প্রার্থী মার্টিন ভিকার্সের কাছে ৩ হাজার ২৪৩ ভোটে পরাজিত হন। আর লেবার পার্টি থেকে গর্ডন ও বুচান আসনে ৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন নুরুল হক আলী। গতবারের তুলনায় এবার তার ভোট বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে ৩৪ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রার্থী সংসদের আসনের জন্য লড়াই করেন। তাদের মধ্যে আটজন ছিলেন লেবার পার্টির, দুজন কনজারভেটিভ পার্টির, একজন এসএনপি থেকে এবং একজন লিবারেল ডেমোক্র্যাট থেকে। বাকি প্রার্থীরা ছিলেন স্বতন্ত্র এবং অন্যান্য দল থেকে।
 

কমেন্ট বক্স