রাশিয়ার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা আইনত অর্থহীন। এটি মূলত মস্কোর বিরুদ্ধে ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ। ২৫ জুন (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদ এ মন্তব্য করে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও বর্তমান রুশ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্সিল জানায়, রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। এজন্য রাশিয়ার কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আইসিসির নেই। তাই আইসিসির এমন সিদ্ধান্তকে পশ্চিমের ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ বলে মন্তব্য করে।
গত মাসে শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করে রাশিয়ার শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শোইগু এবং গেরাসিমভ ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সন্দেহভাজন এই দুজন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে রুশ বাহিনীর চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী- এমন অভিযোগ বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিচারকরা।
তবে রাশিয়া বরবারই বলে আসছে, ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো একটি ‘বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু’। এছাড়া তারা বেসামরিক নাগরিক ও লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
ঠিকানা/এএস