ভালোভাবে খাবার মুড়িয়ে না রাখলে ফ্রিজের ঠাণ্ডা বাতাস খাবারের উপরিভাগে ‘ফ্রিজার বার্ন’ তৈরি করতে পারে। রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানে হয়, তবে বেশিরভাগ খাবারেই যদি ‘ফ্রিজার বার্ন’ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে, ফ্রিজ অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হচ্ছে।
বরফের আস্তর পড়া আরেকটি লক্ষণ। ডিপ ফ্রিজের ভেতরের দিকে তুষারের মতো বা কঠিন বরফ জমলে বুঝতে হবে ফ্রিজ অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হয়ে আছে। ফলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও ফ্রিজের সেন্সর আটকে যায়। যে কারণে ফ্রিজের কার্যকারিতা কমে।
যখন মাংস বা এই ধরনের কাঁচা খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয় তখন মনে হতে পারে ‘যত ঠাণ্ডা তত ভালো’। তবে শূন্য ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রাখলেও ফ্রিজের ভেতরের খাবার সংরক্ষণে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না। উল্টো বিদ্যুৎ বিল বাড়াবে।
ফ্রিজ বেশি ঠাণ্ডা হলে যা করতে হবে
অনেক কিছুই করার আছে। আর বেশিরভাগ পন্থাই বেশ সরল।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: সহজ পন্থা হল ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকা ‘নব’ বা থার্মোস্ট্যাট ঘুরিয়ে শূন্য ডিগ্রির মধ্যে রাখা। মনে রাখতে হবে এর প্রভাব দেখা যেতে দুয়েক দিন দেরি হতে পারে।
ভেন্ট পরীক্ষা করা: ফ্রিজের ভেতরে থাকা ‘ভেন্ট’ যদি বরফ বা খাবারের কারণে আটকে যায় তবে বাতাস ঠিক মতো চলাচল করবে না। ফলে ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা ওঠা-নাম করতে থাকবে।
ফ্রিজের দরজা যেন শক্তভাবে আটকায়: ফ্রিজের দরজা লাগানোর পর কোনো ফাঁক থাকলেও ফ্রিজ বেশি পরিমাণে ঠাণ্ডা হতে পারে। তাই দরজা ঠিক মতো লাগছে কিনা সেটা খেয়াল করতে হবে।
ফ্রিজ বা ফ্রিজারের বরফ গলানো পন্থা
যদি ফ্রিজের ভেতরের সব দিকে বরফ জমে যায় বা ভেন্ট আটকে যায় তাহলে বরফ গলিয়ে ফ্রিজকে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সাধারণত বছরে একবার বরফ গলিয়ে পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার করার পরাপর্শ দেওয়া হয়।
ফ্রিজের ভেতরের খাবার অন্য কোনো ঠাণ্ডা জায়গায় রাখতে হবে। অথবা ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে অন্তত সংরক্ষিত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
ফ্রিজের চারপাশে মোটা কাপড় বিছিয়ে রাখলে আশপাশ ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
ফ্রিজের বৈদ্যুতিক সংযোগ খুলে রাখতে হবে বরফ গলার জন্য। আর দরজা খুলে ফ্যান ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে বরফ গলবে দ্রুত।
ভেতরটা পানির সাথে বেইকিং সোডা মিশিয়ে, সেটা দিয়ে ভালো মতো ঘষে মেজে পরিষ্কার করে কাপড় দিয়ে পানি টেনে ভালো মতো শুকিয়ে নিতে হবে।
এরপর পুনরায় বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।
কন্ডেনসার কয়েল পরিষ্কার করা
ফ্রিজ ভালো মতো চলাটা নির্ভর করে কন্ডেনসার কয়েলের ওপর। এটা যদি ময়লা দিয়ে ঢেকে যায় তবে ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক মতো বজায় থাকবে না। তাই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা ব্লোয়ার দিয়ে এই কন্ডেনসার কয়েল ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এর পরেও বেশি ঠাণ্ডা হওয়ার সমস্যা সমাধান না হলে ফ্রিজ ঠিক করে এমন পেশাদার ব্যক্তিকে ডাকতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে সমস্যা হয়ত আরও জটিল যে ব্যাপারে তারাই পরখ করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবে।
ঠিকানা/এসআর