Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

এক পরিবারের সাতজনের চিরবিদায়

এক পরিবারের সাতজনের চিরবিদায় ছবি সংগৃহীত
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে মোট ৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরের একই পরিবারের নিহত সাতজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় ওমেতমুর গ্রামে ১ জন, সকাল ৯টায় চরপাড়া গ্রামে ৪ জন, সকাল ৯টায় সাহাপাড়া গ্রামে ২ জনসহ মোট তিন গ্রামে ৭ জনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এক পরিবারের নিহত সাতজন হলেন উপজেলার ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০), দুই মেয়ে তাহিয়া (৭) ও তাসফিহা (১১), আজাদের বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বোন ফরিদা বেগম (৫০), ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম (৩০), রাইতির মা রুমি বেগম (৫০) নিহত হন। তাদের সবার বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চরপাড়া গ্রামে।

শনিবার রাতে বরগুনা থেকে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যান শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী টেলিটক চাকরিজীবী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া ও তাসফিহা। এর আগে বুধবার শিবচরের একই ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বোন ফরিদা বেগম, ভাবি ফাতেমা বেগম, দুই ভাগ্নে মাহাবুব খান ও সোহেল খান, সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি, রাইতির মা রুমি বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ওই অনুষ্ঠানে যান।

গত শুক্রবার বিয়েতে সবাই অংশ নেন। শনিবার আত্মীয়স্বজন নিয়ে বউভাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যায়। এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া ও তাসফিহা, আজাদের বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, বোন ফরিদা বেগম, ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম, রাইতির মা রুমি বেগম নিহত হন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৭ জন নিহতের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা নিহতদের দাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স