খেলার মাঝে ঈদ পড়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচও বাংলাদেশ খেলেছিল ঈদের মাঝে। সাকিবদের রোজার ঈদ উদ্যাপন করতে হয়েছিল লন্ডনে। লন্ডনে তবু প্রচুর বাংলাদেশি আছে, কিছুটা হলেও দেশের মতো ঈদ আমেজ সেখানে মেলে। কিন্তু এই সুদূর ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে কি ঈদের আমেজ মেলে!
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি পড়ে গেছে একেবারে কোরবানির ঈদের দিনেই। ছোট্ট দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে মুসলমান অধিবাসী আছেনই সাকল্যে এক হাজার। পুরো দ্বীপে একটিই মসজিদ আছে, সেটি অবশ্য স্টেডিয়ামের বেশ কাছেই। বাইরে থেকে একটি ছোট্ট টিনের খুপরি দেখে বোঝারও উপায় নেই এটি মসজিদ। এই মসজিদেই স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাতটায় ঈদের নামাজ আদায় করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তার মানে বাংলাদেশ আর সেন্ট ভিনসেন্ট একই দিনে ঈদ উদ্যাপন করবে। বাংলাদেশ দলের প্রথম পরিকল্পনা ছিল সোমবার সকালেই নামাজ আদায় করবে। কিন্তু সে পরিকল্পনা থেকে তারা সরে এসেছে।
সেন্ট ভিনসেন্টে রোববার (১৬ জুন) সকাল সাতটায় স্থানীয় এক ইমামকে ডেকে এনে হোটেলেই ঈদের নামাজ আদায় করে ফেলেছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল সোমবার সকালে নামাজ আদায় করব। কিন্তু ম্যাচের পরের দিন ফ্লাইট ধরার একটা তাড়া আছে। সেই ফ্লাইট কখন হয়, কে জানে! এই অনিশ্চয়তা থেকে রোববার সকালেই আমরা ইমাম ডেকে ঈদের নামাজ আদায় করে ফেলেছি। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদের নামাজ আদায় করেছি আমরা।’
ম্যাচের আগে ঈদের নামাজ আদায়ের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতেই টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত। আজ যেহেতু ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে, দুপুরে বিশেষ ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে টিম হোটেলে। এভাবেই এ দূর প্রবাস সেন্ট ভিনসেন্টে ঈদ উৎসব করল বাংলাদেশ। ঈদ আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যদি আজ রাতে (শুরু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা, বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা) নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলে সুপার এইট।
ঠিকানা/এনআই