গত ৭ জুন ছিলো ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ‘ছয় দফা’ দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন সূচনার দিন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয় দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
গত ৭ জুন জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সামাদ আজাদ এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হামিদের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভাটি আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ প্যারেড নামে নাটক করে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পাশে খুনি জিয়াউর রহমানের ছবি টাঙ্গানো হয়েছে- এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি ডা. মাসুদুল হাসান, সামছুউদ্দীন আজাদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দুরুদ মিয়া রলেন, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হামিদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক নাফিকুর রহমান তুরান, উপদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্ষকরী সদস্য শাহানারা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধো সিরাজ উদ্দীন সরকার, আবুল কাসেম, বুদরুজ্জামান পান্না, সাইফুল আলম, এবাদুল হক, শাহ আল শফি আনসারী, মো. হারুন অর রশীদ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ কীর্তনিয়ী, যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ নেতা রায়হান মাহমুদ প্রমুখ।