বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে অবশেষে রব-মিন্টু প্যানেল প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যদিকে সেলিম-আলী প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে আগেই। ফলে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী পালে জোরেশোরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বর্তমান সভাপতি মো. রব মিয়া পুনরায় নির্বাচন করছেন না বলে জনশ্রুতি ছিল। এমনকী তিনি নির্বাচন করলেও তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুইবারের বেশী সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায় রা। ফলে রুহুল আমিন সিদ্দিকী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে পারবেন না।
জানা গেছে, রব মিয়া সভাপতি প্রার্থী না হলে রুহুল আমিন সিদ্দিকী সভাপতি প্রার্থী হবেন। অন্যদিকে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন এটা নিশ্চিত।
একটি সূত্র জানায়, সোসাইটির বৃহত্তর স্বার্থে রব মিয়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। সমর্থকদের চাপে তিনি নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে রুহুল আমিন সিদ্দিকী কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করলেও বর্তমান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। অর্থাৎ রুহুল আমিন সিদ্দিকী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করলে মহিউদ্দিন দেওয়ান তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
এদিকে রব মিয়া সভাপতি পদে প্রার্থী হলে জাহিদ মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী করা হবে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে অনেকে মত দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বল চলে যাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিমের কোর্টে। কারণ রব মিয়া ও জাহিদ মিন্টু দুজনই নোয়াখালীর। অন্যদিকে সেলিম সিলেটের। সঙ্গত কারণে নিউইয়র্কে সিলেটবাসীর একমাত্র প্রার্থী হিসাবে সেলিমকেই সমর্থন দেবেন বলে ধরে নেওয়া যায়। সভাপতি হিসাবে রব মিয়ার জনপ্রিয়তা রয়েছে। জাহিদ মিন্টু সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলে জামাত ঘরানার লোকজনের অকুণ্ঠ সমর্থন পাবেন তিনি, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে দু’জনই নোয়াখালীর হওয়ায় রব-মিন্টুর নাম প্রায় চূড়ান্ত শোনা গেলেও শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আসতেও পারে।