গরমে হিটর্যাশ থেকে মুক্তি দিলেও বর্ষায় কিন্তু নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ে। বড়দের তো বটেই, এ সময়ে নবজাতকদেরও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। বর্ষাকালে জলবাহিত ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়া তো আছেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গেলে সবচেয়ে আগে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। বাড়িতে সদ্যোজাত শিশু থাকলে সবসময় ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। স্যানিটাইজ় করতে পারলে আরও ভালো হয়।
শুধু তাই নয়, শিশুর বিছানা-বালিশ, পোশাক, নিত্য ব্যবহারের জিনিসের সঙ্গে সব খেলনাও পরিষ্কার করতে পারলে বড়সড় রকমের রোগ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়। এছাড়া আরও তিনটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
সঠিক ডায়াপার কিনুন
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বর্ষাকালে বারবার বিছানা ভিজিয়ে ফেলে শিশুরা। ভেজা কাপড় বা ডায়াপার থেকে ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক। এছাড়া ভেজা ডায়াপার পরে সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, বর্ষায় বিছানা ভিজিয়ে ফেলার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সারাক্ষণ শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখাও কিন্তু কাজের কথা নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে ডায়াপারের ব্যবহার কমানোর। পাশাপাশি ভেজা কাপড় যাতে বেশি ক্ষণ যাতে ত্বকের সংস্পর্শে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মশা যেন না কামড়ায়
বর্ষার জমা জলে মশা বংশবিস্তার করে। তাই মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায় এ সময়ে। শিশুকে মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে গা ঢাকা পোশাক পরানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দিনের বেশিরভাগ সময় শিশুকে মশারির ভেতর রাখার উপদেশও দিচ্ছেন তারা।
রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা
জ্বর, সর্দি ও পেটের রোগ ছাড়াও শিশুদের শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে এ সময়ে। ঘন ঘন শরীর খারাপ হলে আতঙ্কিত না হয়ে কোন রোগের কী লক্ষণ, সে সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ঠিকানা/এসআর