Thikana News
০৬ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

কোরবানির আগাম প্রস্তুতি শুরু

কোরবানির আগাম প্রস্তুতি শুরু
আগামী ১৬ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্্যাপিত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে আর হাতে বেশি সময় নেই। ইতিমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দেশে কোরবানি করার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই এখানেই কোরবানি করছেন। এবার ঈদের সময় স্কুল খোলা থাকায় কারণে অনেকেই দেশে যেতে চাইলেও যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে টিকিটের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে একটি পুরো পরিবার দেশে যাওয়ার জন্য যে পরিমাণ খরচ, তা অনেক বেশি। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই এবার যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী বাজেটের মধ্যে পশু কোরবানি দেবেন।
নিউইয়র্কে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই অনেকে বিভিন্ন গ্রোসারিতে কোরবানির অর্ডার দিতে শুরু করেন। এবারও অনেকেই দিয়েছেন। যারা ঈদের দিনই কোরবানি দিতে চান এবং ঈদের দিনেই মাংস পেতে চান, তারা ইতিমধ্যে পশুর অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন গ্রোসারির মালিকরা সেভাবেই অর্ডার নিশ্চিত করেছেন। একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে কয়েকজন মিলে কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে হিসেবে তারা বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে গরু-ছাগল দেখে আসছেন ও পছন্দ করছেন। অনেকে পশু কিনেও ফেলছেন।
এবার কোরবানির সময় গরুর মাংসের পাউন্ড কত ডলার হবে, এটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ গ্রোসারির একাধিক মালিক বলেছেন, এটা আসলে আগেভাগে ঠিক করা সম্ভব হয় না। সাধারণ বাজারের চেয়ে কোরবানির মাংসের দাম একটু বেশি হয়। কারণ ওই সময়ে বাজারে মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। সেই সঙ্গে ওই সময় এত গরু জবাই করার জন্য লোকবলের সংকট থাকে। ফলে বেশি দাম দিয়ে গরুর ফার্মগুলোকে কাজ করাতে হয়। এ কারণে চাইলেও কম খরচে দেওয়া সম্ভব হয় না।
জ্যামাইকা, হলিস, বেলরোজ, সাটফিন বুলেবার্ড, জ্যাকসন হাইটস, ওজন পার্ক, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটনের বিভিন্ন গ্রোসারিতে এখন কোরবানির অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। মান্নান সুপার মার্কেট, ফাতেমা গ্রোসারি, কাওরান বাজার, প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, মাছ বাজার, ইত্যাদি, হাটবাজার, খামার বাড়ি, আইল্যান্ড ফ্রেশ, বারী সুপার মার্কেট, আল আকসা, মামাসসহ বিভিন্ন গ্রোসারিতে কোরবানির অর্ডার চলছে। ফোন করেও অনেকেই অর্ডার দিচ্ছেন। কেউ কেউ অনলাইনেও অর্ডার দিচ্ছেন। অনেকেই দোকানে গিয়ে অর্ডার দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে মাছবাজারের কর্ণধার রুমি ভূঁইয়া বলেন, আমরা এখন কোরবানির অর্ডার নিচ্ছি। যারা ঈদের দিনে মাংস নিতে চান, তারা ইতিমধ্যে অর্ডার দিয়ে দিয়েছেন। এখন আমরা ঈদের পরের দিনগুলোর জন্য অর্ডার নিচ্ছি। আমরা সবাইকে বলছি, যারাই মাংস নিতে চান, তারা এখন একটি অ্যামাউন্ট বুকিং মানি দেবেন। পরে যখন আমরা মাংস দেব ওই সময়ে যে দাম আসে, তিনি বাকি অর্থ দিয়ে মাংস নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমরা ছাগল বললে ছাগলের মাংসই দেব। আমরা ছাগল বলে ভেড়ার মাংস দিই না। তাই কাস্টমাররা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন নিশ্চিত মনে।
মাছবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, ২৭ মে বিকেল পর্যন্ত- তারা কোরবানির জন্য ১১টি গরুর অর্ডার পেয়েছেন। এখন অর্ডার দিলে ঈদের পরদিন দুপুরবেলায় মাংস সরবরাহ করা হবে। অর্ডার কত দিন নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অর্ডার নিতে থাকব। তিনি বলেন, এক ভাগ গরু কোরবানি দিলে ৬০০ ডলারের মতো এবং একটি ছাগল দিলে ৪০০-৪৫০ ডলারের মতো দাম পড়তে পারে। তবে সঠিক দাম এখনো বলা যাচ্ছে না। এখন অর্ডার দিলে দোকান থেকেই কাস্টমারকে মাংস নিতে হবে। আমরা কোরবানির অর্ডারের ক্ষেত্রে হোম সার্ভিস দিই না। কারণ এত অর্ডার থাকে যে শেষ করা যায় না।
ফাতেমা গ্রোসারির কর্ণধার ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা কোরবানির জন্য অর্ডার নিচ্ছি। ঈদের দিনের জন্য কোরবানির অর্ডার নেওয়ার সুযোগ এখন আর নেই। এখন যারা অর্ডার দিচ্ছেন, তারা ঈদের পরের দিন মাংস পাবেন। এবার কত করে পাউন্ড পড়বে, তা আমরা এখনো বলতে পারছি না। কারণ এটা নির্ধারণ করা হবে ঈদের সময়। বিভিন্ন কারণেই মাংসের দাম ঈদের সময়ে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এখনো যারা কোরবানির জন্য অর্ডার দিতে চান, তারা অর্ডার দিতে পারবেন।
হাটবাজারের কর্ণধার মনসুর চৌধুরী বলেন, আমরা কোরবানির অর্ডার নিচ্ছি। আশা করা হচ্ছে গত বছরের মতোই হবে। তবে এবার এখনো ব্যবসা অত ভালো নয়। স্লো যাচ্ছে। মানুষের আর্থিক অবস্থারও বিষয় আছে। তিনি বলেন, আমরা অর্ডার নিচ্ছি, কেউ চাইলে অর্ডার দিতে পারবেন। গত সপ্তাহে মাংসের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এবার দাম একটু বেশি পড়বে।

কমেন্ট বক্স