‘ফুটবল ১৯৭১’ চলচ্চিত্র নিয়েই নুসরাত ফারিয়ার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা। সর্বশেষ কলকাতায় ‘আবার বিবাহ অভিযান’ চলচ্চিত্র মুক্তি পেল তার। ছবিটি সিক্যুয়েল মুভি। এর আগের মুভিটি টলিউডে দারুণ ব্যবসা করলে নুসরাত ফারিয়াসহ অন্য কাস্টিংকে নিয়ে ছবির দ্বিতীয় সিক্যুয়েল প্রকাশ পায়।
এ সময়ের আলোচিত ‘সুড়ঙ্গ’ চলচ্চিত্রে একটি বিশেষ আইটেম গানে অংশ নিয়েও আলোচনায় তিনি। ছবিটিকে অতিথি চরিত্রেই কাজ করেছেন ফারিয়া। বর্তমান সময়ের চিত্র ও তারকাদের ভেতরে নুসরাত ফারিয়া সবসময় নিজেকে কাজের ভেতরেই ডুবিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। তাই ক্যারিয়ারগ্রাফ বিবেচনায় নিজের গান, টিভিসি, বিভিন্ন সামাজিক প্রচারণাসহ চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা তার। শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, নুসরাত ফারিয়া বর্তমানে ১৮টি কোম্পানির সঙ্গে ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন।
নিজের কাজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলতেই ফারিয়া বলেন, দেখুন, কাজের বাইরে থাকতে আমার ভালো লাগে না। আর কাজ ছাড়া অযথা আড্ডা দেওয়াটাও আমি পছন্দ করি না। তাই নিজের মতো করেই শুধু ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই।
কিন্তু সাম্প্রতিক এক গুঞ্জনের মুখোমুখি হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পাক্ষিক ‘আনন্দলোক’ লিখেছে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ’র সম্পর্ক নাকি ভালো যাচ্ছে না। আর সে কারণেই নাকি তার সদ্য রিলিজকৃত ছবি ‘আবার বিবাহ অভিযান’-এ ফারিয়া ক্যাম্পেইনে সময় দিতে পারেননি।’
হঠাৎ করে এ রকম খবর প্রসঙ্গে জানতে নুসরাত ফারিয়াকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিষয়টি হাসি দিয়ে উড়িয়ে বললেন, ‘আজ সকালেও তো এসভিএফের এক কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হলো! আর ছবির প্রমোশনে থাকতে পারিনি, সেটা ভিন্ন ইস্যু। আমার দেশে কিছু কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতায় শুধু একটি ছবির প্রমোশনের জন্য গেলে থাকা-খাওয়া সময় সবকিছুই তো একটা খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার থাকে। সে কারণেই যাওয়া হয়নি। এর বেশি কিছু না। আর এসভিএফের সঙ্গে আমার দূরত্ব কেন হবে? আমি এর ভেতরে অনম দার ছবির কাজটি শেষ করলাম। বন্ধুদের নিয়ে তুরস্কে ঘুরে এলাম। এসেই দেশে বেশ কিছু কাজের চাপ রয়েছে। হয়তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বলেই এমনটা লিখে দিয়েছে। আমি আমার যে কোনো কাজের ব্যাপারে খুবই কমিটমেন্ট রক্ষা করে চলি। আর এটা রক্ষা করে চললে কারও সাথে সম্পর্কের ব্যত্যয় ঘটার কথা না।’
এদিকে ‘এসভিএফ’র ব্যানারে শুধু চলচ্চিত্রই নয়, বরং নুসরাত ফারিয়ার আলোচিত সিঙ্গল ট্র্যাকগুলোও তারাই প্রডিউস করেছে। সর্বশেষ ফারিয়ার গাওয়া ‘বুঝি না তো তাই’ গানটি তাদেরই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তি পাওয়া। যা এরই ভেতরে ৭০ লাখেরও ওপরে দর্শক শ্রোতা দেখেছে। নুসরাত ফারিয়ার কথায়, ‘কারও সঙ্গে কাজ করলে একটু আধটু গুঞ্জন রটবেই। তবে আমি বিশ্বাস করি, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের ভেতরে এক ধরনের পারিবারিক বন্ধন তৈরি হয়ে থাকে, যা দু’পক্ষের জন্যই মজবুত থাকা জরুরি।’
ঠিকানা/এসআর