Thikana News
০৭ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় মাতৃহারা শিশুকে দত্তক নিতে ৪ আবেদন

সড়ক দুর্ঘটনায় মাতৃহারা শিশুকে দত্তক নিতে ৪ আবেদন ছবি সংগৃহীত
বয়স মাত্র দেড় বছর। এই সময় অন্য শিশুরা মায়ের কোলে নিরাপদে থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনায় মা জায়েদা খাতুনের মৃত্যুর পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসানের ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছে। অবশেষে সেই শিশুটিকে দত্তক দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জায়েদের মামা রবিন মিয়া আর্থিক সংকটে শিশুটির দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশুকল্যাণ বোর্ড।

এ খবরে শনিবার (১৮ মে) শিশু জায়েদ হাসানকে দত্তক নিতে চার ব্যক্তি আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্যসচিব ও জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক আ. কাইয়ুম।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত শিশুটির দায়িত্ব নিতে চারটি আবেদন জমা হয়েছে। তবে আরও কয়েকজন অনলাইনে আবেদন করবেন বলে ফোনে আমাদের জানিয়েছেন। রোববার (১৯ মে) এ বিষয়ে সভা আছে। ওই সভায় জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। ওই সভাতেই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আ. কাইয়ুম আরও জানান, শিশুর মামা পিকআপভ্যান চালক। ফলে আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় তিনি নিজের বোনের শিশুটির দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটির দায়িত্ব অন্য কোনো পরিবারকে দিতে তিনি অনাপত্তিপত্রও দিয়েছেন। এই অবস্থায় শিশুটিকে কোনো পরিবারকে দেওয়ার আগে ওই পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজনে শিশু কল্যাণ বোর্ড সরেজমিনে যাচাই করবে।

দত্তক বিষয়ে শিশুটির মামা রবিন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জায়েদা খাতুন (৩০) ও তার দেড় বছর বয়সী শিশুপুত্র জায়েদ হাসান। সেখানেই গত ১০ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জায়েদা। মৃত মায়ের বুক আঁকড়ে কাঁদতে থাকে শিশুটি। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গত ১১ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিহত জায়েদার ভাই রবিন মিয়া।

পরে রবিন মিয়া ওইদিন বোনের লাশ বুঝে পেলেও শিশুটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু হাসপাতালে এসে রবিন মিয়া শিশুটিকে লালন-পালন করতে প্রথমে সম্মতি জানালেও পরে তিনি অসম্মতি জানিয়েছেন। এরপর জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ৯ মে দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তারা আহত হলে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জায়েদা খাতুনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স