মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ছয় মাসেরও কম সময় বাকি। দেশের নিয়ন্ত্রণ যাবে কার হাতে রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট- এনিয়ে এখন দুই দলেই বিরাজ করছে অস্থিরতা। গত ১২ মে সোমবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস- সিয়েনা কলেজের একটি জরিপে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্য বা সুইং স্টেটে (দোদুল্যমান রাজ্য) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে রিপাবলিকান সিনেট প্রার্থীরা এসব রাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। এসব রাজ্যে অস্বস্তিতে আছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলই।
নেভাদা : এই সিলভার স্টেটে ট্রাম্প আগের দুটি নির্বাচনেই হেরেছেন। তবে এবার তিনি সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে ৫০% ও ৩৮% এ বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন, কর্নেল ওয়েস্ট এবং লিবারেটারিয়ান প্রার্থী লার্স ম্যাপস্টেডসহ তৃতীয়-পক্ষের প্রার্থীদের বিবেচনা করার সময় ট্রাম্প বাইডেনের চেয়ে ৪১% ও ২৭% ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট পদে ঘাম ঝরালেও এ রাজ্যে সিনেট প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন। সিনেটর জ্যাকি রোজেন (ডি-এনভি) রিপাবলিকান স্যাম ব্রাউনের চেয়ে ৪০% ও ৩৮% ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
অ্যারিজোনা : ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে এ রাজ্যে হেরেছিলেন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ৪৯% ও ৪২% ব্যবধানে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তৃতীয় পক্ষের প্রার্থী থাকলেও তিনি এখনো ৪২%-৩৩% এ নেতৃত্ব বজায় রেখেছেন। এ রাজ্যে সিনেট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি রুবেন গ্যালেগো ৪৫% ও ৪১% ব্যবধানে রিপাবলিকান কারি লেকে থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
মিশিগান : গ্রেট লেক স্টেটে ট্রাম্প ২০২০ সালে হেরে যাওয়ার পরেও প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। তিনি ৪৯% ও ৪২% এ বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তৃতীয়-পক্ষের প্রার্থী থাকলে সমীক্ষা অনুযায়ী তিনি ৩৮%-৩৬% এগিয়ে।
এ রাজ্যে সিনেট নির্বাচন নিয়ে জরিপে কোনো ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি এলিসা স্লটকিন এবং প্রাক্তন জিওপি প্রতিনিধি মাইক রজার্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।