Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

শূকরের কিডনি গ্রহীতার দুমাসের মধ্যে মৃত্যু

শূকরের কিডনি গ্রহীতার দুমাসের মধ্যে মৃত্যু
বিশ্বে প্রথম ‘জেনেটিক্যাল মডিফায়েড’ একটি শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ম্যাসাচুটেসের ওয়েমাউথের এক ব্যক্তির শরীরে। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাষট্টি বছরের ওই ব্যক্তি, নতুন কিডনি নিয়ে বছর দুয়েক তো বাঁচবেনই। অথচ তা হলো না। কোনওরকমে দুমাস যেতে না যেতেই রিচার্ড ‘রিক’ স্লেম্যান নামের ওই ব্যক্তি ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।
 
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট টিম এক বিবৃতিতে বলেছে যে, স্লেম্যানের মৃত্যুতে তারা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক দল। সেইসঙ্গে তারা বলেছে যে, প্রতিস্থাপনের ফলেই স্লেম্যানের মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। 

২০১৮ সালে স্লেম‌্যানের একবার কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিডনি ফেলিওর হওয়ায় ২০২৩ সালে তার ডায়ালিসিস হয়। বার বার এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে স্লেম্যানের অন্যান্য আরও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এর পরই ডাক্তাররা শূকরের লিভার তার শরীরে প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। স্লেম্যান প্রথম জীবিত ব্যক্তি যার দেহে জেনেটিক্যাল মডিফায়েড’ শূকরের কিডনি স্থাপন করা হয়েছিলো।

পূর্বে, শূকরের কিডনি অস্থায়ীভাবে ‘মস্তিষ্ক-মৃত’ এমন দুজন গ্রহীতাদের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। যদিও দুজনেই কয়েক মাসের মধ্যে মারা যান।একটি বিবৃতিতে, স্লেম্যানের পরিবার তার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘জেনোট্রান্সপ্লান্টের জন্য চিকিৎসকদের বিশাল প্রচেষ্টা আমাদের পরিবারকে রিকের সাথে আরও সাত সপ্তাহ সময় কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সময়ে তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি চিরজীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে। রিকের ট্রান্সপ্লান্ট হাজার হাজার লোককে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে।’

‘জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন’ অর্থাৎ মানবদেহে পশুর কোষ-কলা কিংবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন। এতে ব্যর্থতার হারই বেশি। তা সত্ত্বেও আমেরিকায় 'জেনোট্রান্সপ্লান্টেশন’-এর সংখ্যা  কম না। ১০০,০০০-এরও বেশি লোক অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য তালিকায় রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই কিডনি রোগী।  প্রতি বছর তাদের পালা আসার আগেই হাজার হাজার রোগী মারা যান।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স