মা। পৃথিবীর সেরা। শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় জগতে মায়ের সমতুল্য আর কেউ নেই। মায়ের তুলনা একমাত্র মা-ই। মা এক অক্ষরের একটি শব্দ। কিন্তু এর তাৎপর্য ব্যাপক। পৃথিবীর সবাই মাকে মা বলেই ডাকে। অতএব, মায়ের সঙ্গে আর কাউকে তুলনা করা যায় না। মহান আল্লাহ পাক মাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘মা হচ্ছেন সমগ্র জাহানের শ্রেষ্ঠ সম্মানীয় নিয়ামত। মাকে কখনো কষ্ট দেওয়া যাবে না, অসম্মান করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট ও পাপিষ্ঠ সেই ব্যক্তি; যে তার মাকে কষ্ট দেয়, মাকে অসম্মান করে, সে অবশ্যই অভিশপ্ত।’ সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহ ও ভালোবাসা অকৃত্রিম। পৃথিবীর কোনো কিছুর সঙ্গেই মায়ের মায়া-মমতার তুলনা করা যায় না। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মায়ের পদতলেই সন্তানের বেহেশত।’ অতএব, মর্যাদাগতভাবে দুনিয়া-জাহানে মায়ের সমকক্ষ আর কেউ নেই।
পৃথিবীতে মায়ের মর্যাদাকে উচ্চকিত রাখার তাগিদ হচ্ছে মানবধর্মের অন্যতম শিক্ষা। সব ধর্মের একই কথাÑমাকে যেন অবহেলা না করা হয়। ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি অসম্মান ও অবহেলা প্রদর্শন মহাপাপ। পৃথিবীতে সৌভাগ্যবান তিনি, যিনি মায়ের আদর, মায়া-মমতা ও স্নেহ-পরশে বড় হয়েছেন এবং মাকেই সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদা দিয়েছেন। আবার এমন অনেক সন্তান আছেন, যারা শিশুকালে মা হারিয়েছেন। মায়ের আদর ও স্নেহবঞ্চিত হয়েছেন কিন্তু বড় হয়ে কখনো মাকে ভুলে যাননি। জীবনভর মায়ের মর্যাদাকে বক্ষে ধারণ করে ধন্য হয়েছেন।
মহানবী (সা.) জন্মের আগেই পিতৃহারা হন এবং জন্মের চার বছরের মাথায় প্রাণপ্রিয় মাকে হারান। মাতা-পিতার আদর-স্নেহ-মমতা ও ভাগ্যবঞ্চিত নিদারুণ দুঃখবোধ নিয়ে বড় হয়েছেন। মাতা-পিতাবিহীন অন্তর্জ্বালা নিয়ে, তাঁদের অস্ফুট স্মৃতিকে ধারণ করেই তিনি মহামহিমের নৈকট্যের পূর্ণ প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছিলেন। সবার উপর মানুষ সত্য এবং সবার উপর জগতের সকল মায়ের প্রতি অপার শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
পৃথিবীতে অনেক দুর্ভাগা সন্তানও আছে, যারা জীবদ্দশায় মা-বাবাকে কষ্ট দেয়। তাঁদের প্রতি দুর্ব্যবহার করে। বহুদিন আগে পত্রিকায় এমন একটি খবর দেখে চমকে উঠেছিলাম, ‘বাংলাদেশের কোন পরিবারের এক কুসন্তান তার বৃদ্ধ মা ও বাবাকে অত্যাচার ও জ্বালাতন করত। অনেক কষ্ট দিয়ে অবশেষে তাঁদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়! অসহায় মা-বাবাকে নির্দয়ভাবে রাস্তায় নিক্ষেপ করে। সেই কুপুত্র নিজ স্ত্রীকে নিয়ে মা-বাবার সকল সম্পদ ভোগ করতে থাকে!’ অবশ্য বর্তমান অবক্ষয়ী সমাজে মাতা-পিতাকে অবহেলা ও দুর্ব্যবহার নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়ে গেছে।
মায়ের দুঃখ-কষ্ট ও বেদনা মোচনে সর্বাগ্রে সন্তানকেই এগিয়ে আসতে হবে। মাকে অসন্তুষ্ট রেখে কিংবা অবহেলা করলে ইহজগতে সবচেয়ে অভিশপ্ত জীবন এবং পরজগতে ক্ষমাহীন কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, পৃথিবীতে অনেক মা সন্তানের নিকট থেকে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। মা অভিশাপ না দিলেও এমন পাপিষ্ঠ সন্তানের ভাগ্যে জুটেছে জগদ্ধিক্কৃত অভিশাপ এবং ঘটেছে নিষ্প্রদীপ নিকৃষ্টতম জীবনপাতের ঘটনা।
মায়ের খুশি ও সন্তুষ্টির ওপর সন্তানকে সদা সচেতন এবং দায়িত্ববান থাকতে হবে। দুঃখিনী মায়ের কষ্টবোধকে বিদূরিত করার জন্য সন্তানকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বড়পীর আবদুল কাদির জিলানির (রহ.) শিশুকালের একটি ইতিহাস বিখ্যাত ঘটনা আছে। যিনি কোরআনে হাফেজ অবস্থায় জন্মেছিলেন। একবার রাতে তাঁর মমতাময়ী মা শুয়ে ছিলেন এবং শিশুর কাছে পানি চাইলেন। আদরের শিশুসন্তান আবদুল কাদির পানি নিয়ে এসে দেখেন, মা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে রইলেন। রাত পোহানোর আগে মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর সন্তান গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কম্পিত শরীরে দণ্ডায়মান শিশুটির হাত-পা থরথর কাঁপছে! সারা রাত পানি হাতে দাঁড়িয়ে? এ দৃশ্য অবলোকন করে মা তো হতভম্ব। মা দেখেন, শিশুটির পা দুটি ফুলে গেছে এবং সারা শরীর কাঁপছে। বাচাধনকে বুকে টেনে মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। মায়ের ঘুমের ব্যাঘাত হবে, কষ্ট হবে ভেবে সন্তান তাঁর মাকে জাগাননি। সেই মহীয়সী মায়ের দোয়ায় তিনি আজও অবিস্মরণীয় জগদ্বিখ্যাত।
পৃথিবীতে এ রকম উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত আরও আছে। সে রকম একটি ঘটনার কথা স্কুলজীবনে পড়েছি, ‘মমতাময়ী মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কিশোর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক মহাদুর্যোপূর্ণ ঝড়-বৃষ্টির ঘোরতর অন্ধকার রাতে, বিরাট স্রোতোবহা নদী সাঁতরে পার হয়েছিলেন। প্রবল ঝড় ও কঠিন কষ্টের মধ্য দিয়ে তিনি মায়ের সান্নিধ্যে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। মায়ের আশীর্বাদে একদিন সেই শিশু বিদ্যাসাগর উপাধিতে জগদ্বিখ্যাত হন।
সন্তানের জন্য, সন্তানের সুখের জন্য মায়ের ত্যাগ ও কষ্টের কোনো তুলনা নেই। সমগ্র জাহানের কোনো কিছুর সঙ্গে মায়ের অবদানের তুলনা করা যাবে না। হাদিসে আছে, ‘মাতা-পিতার আনন্দে খোদার আনন্দ এবং পিতা-মাতার অসন্তুষ্টিতে খোদা অসন্তুষ্ট।’ অতএব, মাকে কখনো অবজ্ঞা করা যাবে না, অসম্মান করা যাবে না। মায়ের অধিকার রক্ষা করেই মহত্ত্ব অর্জন করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একজন সুমাতার অবদানই সবচেয়ে বেশি। শ্রেষ্ঠ মানুষেরা কখনো তাঁদের মাকে অমর্যাদা করেননি।
পৃথিবীতে মাকে নিয়ে যত গল্প-কবিতা ও গান আছে, মায়ের মর্যাদা রক্ষার তাগিদ আছে, আর কিছুতে তা নেই। মা সবার সেরা। সকল ভাষা, সকল ধর্ম আর সকল জাতির মুখে মা নামটি একযোগে যেমন উচ্চারিত হয়, তেমনটি আর কিছুতে হয় না। জগতে একমাত্র মায়েরই কোনো প্রতিশব্দ নেই। মা মা-ই। সবাই সকল ভাষায় মাকে মা বলেই ডাকেন। মায়ের চিরত্ব ও মর্যাদার জন্য এমন বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত আর কিছুতে নেই। সূর্য যেমন অনন্তকাল পৃথিবীতে আলো ছড়ায়, তেমনি মায়ের মমতা ছেয়ে থাকে বিশ্বময়।
মায়ের শূন্যতা এবং মায়ের অভাব কোনো কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়। আমরা যারা মা-হারা, তারা মায়ের মর্মচিন্তা উপলব্ধি করে ব্যাকুল-বিষণ্ন হয়ে থাকি। মায়ের কথা মনে করে বিচলিত হয়ে যাই। শয়নে-স্বপনে সর্বদা মাকে খুঁজি। মাকে পাই না। কিন্তু যাদের মা আছেন, তারা তাদের সৌভাগ্যের পরশকে আরও মহিমান্বিত করতে পারেন মায়ের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে। মায়ের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান করে, পরম যত্নে মাকে সঙ্গে রেখেই ধন্য হতে পারেন। নিজের জীবনের আলোকমালা দিয়ে সমাজকে করে তুলতে পারেন সমুজ্জ্বল ও আলোকিত।
অতএব, কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা আমাদের মাকে ভুলে না যাই। মায়ের স্মৃতিছায়ায় আর মমতা-মায়ায় মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবনত, যত্নশীল হতে সন্তানকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। এ মুহূর্তে আঠারো শতকের কবি জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি লাইন মনে পড়ছে : ‘জাগ জাগ সবে ভারত সন্তান/ মাকে ভুলি কতকাল রহিবে শয়ান।’ মায়ের প্রতি যারা অবজ্ঞা করে তাদের উদ্দেশে ভারতবর্ষের পঙ্কজিনী বসু নামের এক বালিকা কবি আঠারো শতকে লিখেছিলেন : ‘নাহি লজ্জা, নাহি ভয়/ মা’য়ে সবে ‘দাসী’ কয়/ তবু ঘুমায়ে আছ, তোরা কুলাঙ্গার।’ মাত্র ষোলো বছর বেঁচেছিলেন তিনি। অথচ মায়ের ব্যাপারে কী গভীর টান ও ভালোবাসা ছিল। যারা মায়ের অসম্মান করে, তাদের প্রতিবাদেই তিনি এ উক্তি করেছিলেন।
তেমনি মানবতার মা তেরেসা সমগ্র বিশ্বে খ্যাতিমান হয়েছিলেন মা-হারা এতিম সন্তানদের লালন-পালন, ভরণ-পোষণ এবং মানুষ করার দায়িত্ব পালন করে। মানবতার সেবায় অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। নিজের বিশাল বিত্তবৈভবকে তুচ্ছ করে দিয়ে তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এবং অসহায় দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের মধ্যে লীন হয়ে গিয়েছিলেন।
ভারতবর্ষের সুবিখ্যাত দানশীল মহামানব হাজী মুহম্মদ মুহসিন খুব কম বয়সে মাতৃহারা হয়েছিলেন। প্রথমে বেশ দরিদ্র অবস্থায় দিনাতিপাত করতেন। কিন্তু সততা, কর্তব্যনিষ্ঠতায় তিনি সেরা ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিগণিত হয়েছিলেন। নিজের বিশাল সম্পদকে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর দানের হাত শুধু ভারতবর্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পৃথিবীর অনেক দেশে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন।
যাদের মা নেই, বাবা নেই; মায়ের শূন্যতাকে উপলব্ধির মধ্য দিয়ে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে সমাজের অনাথ, দুস্থ-অসহায় মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার মধ্য দিয়ে তাদের পুণ্যময়তা অর্জন করতে হবে। এই প্রকৃতিমাতার অভ্যন্তরে আমরা যারা আছি, যেন মাকে ভুলে না যাই। প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মহামহিমের শেখানো দোয়া যেন করি : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি ছাগিরা।’ (হে প্রভু! পরম যত্ন-ছায়ায় আমার মাতা-পিতাকে দেখে রেখো, যেমনটি যত্নছায়ায়, কোমল মায়ায় তারা দেখেছেন আমায়)।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি লাইন মনে পড়ছে : ‘আমারে ফিরায়ে লহ অয়ি বসুন্ধরে/ কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে বিপুল অঞ্চল-তলে।/ ওগো মা মৃন্ময়ী/ তোমার মৃত্তিকা মাঝে ব্যাপ্ত হয়ে রই।’ চিরায়ত বাংলার আরেকটি গান : ‘সবাই বলো মা, মায়ের দাম কি হয়?/ পৃথিবীতে মায়ের নেই তুলনা/ মাগো তোমার নেই তুলনা।’ কিংবা ‘মা জননী নাইরে যাহার ত্রিভুবনে তাহার কেহ নাইরে/ মায়ের মতো আপন কেহ নাই।’ এসব চিরায়ত গান কিংবা মহামনীষীদের বাণীর সারমর্ম হচ্ছে আমরা কেউ যেন মাকে ভুলে না যাই। প্রাণপ্রিয় বাবাকে ভুলে না যাই।
প্রত্যেকের মাতা-পিতাকে নিয়ে অনেক স্মৃতি থাকে। তেমনি আমাদের সবার মাকে নিয়েও রয়েছে অনেক স্মৃতি। কিন্তু সেসব স্মৃতি ব্যক্ত করার সময় কোথায়? শুধু এতটুকু বলা যায়, মায়ের সীমাহীন কষ্টের মধ্য দিয়ে যে সন্তান বড় হয়ে ওঠে, যে মা-বাবা কষ্ট-ক্লেশের মধ্য দিয়ে সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে বড় করে তোলেন, বড় হয়ে অনেক সন্তান মা-বাবার খবরও রাখে না। পৃথিবীতে এ রকম কুসন্তানও আছে। আমরা কেউ যেন সে রকম পাপিষ্ঠ সন্তানের মধ্যে গণ্য না হই। কখনো কোনো অবস্থায় যেন মা ও বাবাকে কেউ ভুলে না যাই।
মানববিধ্বংসী যুদ্ধ, অত্যাচার-নিপীড়ন ও পাশবিক নির্যাতনের মুখে বর্তমান পৃথিবী ক্রমাগত বিষাদময় হয়ে উঠেছে। বিশ্বময় চলছে চরম অন্যায় ও অমানবিক নিপীড়ন, অত্যাচার-অনাচারের মানববিধ্বংসী পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ। যার শিকার পৃথিবীর অসংখ্য মা ও শিশু। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতার চরম নিপীড়ন এবং ফিলিস্তিনে আগ্রাসী ইসরায়েলের ভয়াবহ যুদ্ধ ও অসহায়-নিপীড়িত মানুষগুলোর প্রতি জগতের নিষ্ঠুরতম বোমা হামলা বিরামহীনভাবে চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা পৃথিবীর সর্বকালের সকল নির্দয় ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতাকে হার মানিয়ে দিয়েছে, যার শিকার ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মা ও শিশু। লাখ লাখ আর্তপীড়িত মানুষ এবং মুমূর্ষু মা ও শিশুর আর্তনাদে পৃথিবী কাঁদে। পৃথিবীর সকল মা ও মানবতার করুণ আর্তিতে মধ্যপ্রাচ্যসহ সর্বত্র মানবতার হাহাকার।
এত যুদ্ধ, এত বিগ্রহ এবং আর্তমানবতার কান্না ও বিষাদময় হাহাকারের মধ্যেও সকল মায়ের প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। প্রতিদিনই মা দিবস। সবাইকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।
বাংলা ভাষার আরেকটি বিখ্যাত গানের কলি দিয়ে আজকের লেখার ইতি টানছিÑ
‘মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মতো ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে।’
লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক