Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদ্‌যাপন

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদ্‌যাপন ছবি সংগৃহীত
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে গত ৭ মে মঙ্গলবার স্টেট সিনেটে এবং ২৫ মার্চ স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের রেজুলেশন সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ওই রেজুলেশন দুটিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস স্থান পায়।

জানা গেছে, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত অ্যাসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস স্টেট অ্যাসেম্বলি হাউসে এবং সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৩২ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত সিনেটর লুইস সেপুলভেদা স্টেট সিনেটে এ-সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন। স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেট অধিবেশনে গৃহীত পৃথক রেজল্যুশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। রেজল্যুশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবদান স্বীকার করে তাদের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। আমেরিকার অর্থনীতি বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা অনন্য। এ সময় উভয় কক্ষের জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান নিবেদন করেন। স্টেট সিনেটর ও অ্যাসেম্বলি মেম্বাররা এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানেরও উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পেছনে সমন্বয়কের কাজ করেছে আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ নামে দুটি সংগঠন।

৭ মে বিকেলে স্টেট সিনেটের অধিবেশনে সিনেটর লুইস সিপুলভিদা উত্থাপিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিলটি পাঠ করে শোনানোর পর স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, জন ল্যু, জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস, জামাল টি বেইলিসহ বেশ কয়েকজন সিনেটর এর সমর্থনে জোরালো বক্তব্য রাখেন। পরে সিনেট হাউসে রেজল্যুশনটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

বিলটি উপস্থাপনকালে সিনেট ফ্লোরে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি আবদুস শহীদ ও সেক্রেটারি শেখ জামাল হুসেন। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।

এদিন সিনেট গ্যালারি বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে বাংলাদেশি কূটনীতিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলি হাউসের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রস্তাবনাটি রেজল্যুশন আকারে গৃহীত হয়। অ্যাসেম্বলি হাউসে অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারিনেস রেইস উত্থাপিত বিলটি পাঠ করে শোনানো হয়। রেজল্যুশনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। বিলের সমর্থনে বেশ কয়েকজন অ্যাসেম্বলিম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এদিকে ৭ মে দুপুরে স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ তার সিনেট অফিস হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলি হাউসে গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডে’ রেজল্যুশন কপি হস্তান্তর করেন অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারিনেস রেইস। আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদ ইউএসএ নেতারা রেজল্যুশন কপি গ্রহণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভিদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএর সভাপতি আবদুস শহীদ, সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদ ইউএসএর আহ্বায়ক ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএর সেক্রেটারি ও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ঐতিহাসিক বাংলাদেশ ডে বিলটি পাস হয় ২০১২ সালের ২৪ মার্চ। ব্রঙ্কস থেকে নির্বাচিত সাবেক সিনেটর রুবিন ডিয়াজের ধন্যবাদ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিলটি পাস হয়। তাকে রেজল্যুশন তৈরি করতে সহযোগিতা করেন অ্যাটর্নি লুইস সিপুলভেদা (বর্তমান সিনেটর)। তাদের সহযোগিতা করেন ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স