সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী, বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ শিবলী সাদিক প্রবাসে আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে আবুধাবিতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সম্প্রতি তার ব্যবসায়িক পার্টনার রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে শিবলী সাদিক ডুবে যান হতাশার বেড়াজালে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো কূলকিনারা না পেয়ে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।
ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলী সাদিক (৩৮) লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত হারুন উর রশিদের ছেলে।
নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির বলেন, শিবলী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে প্রবাসে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সম্প্রতি তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি। পরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলী। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, মৃত শিবলী একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সিলর লুৎফুন নাহার নাজিম বলেন, মৃত্যুর খবর আমরা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছের কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে।
দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঠিকানা/এনআই