Thikana News
০৬ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

দিনাজপুরের সেই ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু

দিনাজপুরের সেই ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ছবি সংগৃহীত
পুলিশ সদস্যদের হাতে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় আসা কিশোরী ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগমের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় দিনাজপুর শহরের গোলাপবাগ এলাকার নিজ বাসা থেকে শরিফা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে।

এর আগে ওইদিন দুপুরে নিজ বাসায় শরিফা বেগমের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে শরিফা বেগম অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমে পড়ে যান। এ সময় স্বামী ও ছেলে তাকে উদ্ধার করেন। সে সময় মাথায় আঘাত পেলেও কোনো ধরনের রক্তক্ষরণ হয়নি।

শুক্রবার সকালে নাশতার পর ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শরিফা বেগম। দুপুরে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় জানাজার আগে তার মরদেহের মাথার পেছন দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে শরিফা বেগমের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট একদল বিপথগামী পুলিশ সদস্যের হাতে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন কিশোরী ইয়াসমিন। ওই ঘটনায় সে সময় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দিনাজপুর। বিক্ষোভের একপর্যায়ের ২৭ আগস্ট পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত হন। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন তৈরি হয়। পরে কিশোরী ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দিনাজপুর কোতোয়ালি পুলিশের তৎকালীন এএসআই ময়নুল ইসলাম, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও চালক অমৃত লালের ফাঁসি কার্যকর হয়।

১৯৯৫ সালে ওই ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিন নারী নির্যাতন প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন। ২৪ আগস্টকে ঘোষণা করা হয় ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স