বিয়ের পরপরই স্বামীর সঙ্গে ট্রেন সফর, কিন্তু সেই সফরেই ভেঙে গেল তরুণীর সংসার। ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকবে ঢুকবে করছে, ঠিক তখনই চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ‘তালাক-তালাক-তালাক’ বলে চিৎকার করে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে যান তরুণীর স্বামী।
পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাতের পুখরায়া স্টেশন থেকে ভোপালগামী একটি ট্রেনে ওঠেন আরশাদ ও আফসানা। আরশাদ পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
জানা গেছে, ঘটনাটি গত ২৯ এপ্রিলের। ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকছে তখনই অভিযুক্ত আরশাদ স্ত্রীকে তালাক দেন। তারপর ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যান। গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান আফসানা। পরে তিনি জিআরপির দ্বারস্থ হন। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তদন্তকারীরা।
জিজ্ঞাসাবাদে আফসানা পুলিশকে জানান, গত ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয় আফসানা ও আরশাদের। ‘ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট’ থেকে তাদের আলাপ হয় এবং সেই আলাপ থেকেই বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে আফসানা চমকে ওঠেন। জানতে পারেন, আরশাদ আগেই বিবাহিত। এ নিয়ে আরশাদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় আফসানার। পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনও অশান্তি শুরু করেন।
আফসানার অভিযোগ, সেই অশান্তি চলাকালীন আরশাদের সঙ্গে ভোপাল যাওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ‘তিন তালাক’ দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যান তার স্বামী আরশাদ।
আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে পলাতক আরশাদকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী আফসানার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাহায্য চাইছেন। আফসানা বলেন, কেবল তিনিই নন, তার মতো স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও আবেদন করেন তিনি।
ঠিকানা/এনআই