আজ (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই বিশেষ দিনে ফিলিস্তিনের সকল সাংবাদিকদেরকে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে সাহসিকতার সাথে সংবাদ প্রচারের জন্য প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক অলাভজনক উন্নয়নমূলক সংস্থা অ্যাকশন এইড।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অ্যাডভোকেসি এবং যোগাযোগ সমন্বয়কারী রিহাম জাফারি ফিলিস্তিনের সাংবাদিকদের বীরত্বের প্রশংসার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যদি ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা জীবনকে বাজি রেখে বীরত্ব এবং সাহসের সাথে এমন প্রতিকূল অবস্থার তথ্য প্রচার না করতো, তাহলে বিশ্বের কাছে ফিলিস্তিনের ভয়াবহ অবস্থা অজানাই থেকে যেত।
তবে গাজা এবং পশ্চিম তীরে এই দায়িত্বরত সাংবাদিকরা যুদ্ধের তথ্য প্রচারের সময়ে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। আবার অনেকে এ সংবাদ প্রচারের জন্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানাভাবে আটক এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন।
যদিও সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ না তবুও এমন ঘটনা ঘটছে যা ভয়ংকর হলেও চরম সত্য দাবি করেন রিহাম জাফারি। ফিলিস্তিনে ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের সময় যত বাড়ছে ভয়াবহতাও তত বাড়ছে। ফিলিস্তিন তাদের ইতিহাসে একটি অন্ধকারতম সময় অতিবাহিত করছে।
এদিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস নিয়ে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি করে শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।
বিবৃতিতে সাংবাদিক হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ইসরইল সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে,
গাজায় সামরিক অভিযানের নামে শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, সেই গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যা করা হচ্ছে সাংবাদিকদের।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।
৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০৭ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন লেবানিজ এবং ৪ জন ইসরাইলি।
ঠিকানা/এএস