প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কালচার এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সবকিছু হারাতে চলেছি। নারায়ণগঞ্জে যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, যেখানে আমরা নারায়ণগঞ্জকে দেখতে চেয়েছিলাম, সে তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।
প্রথমত ‘রাজনৈতিক অনৈক্যের’ কারণে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্যামাইকায় আল আকসান পার্টি হলে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসী আয়োজিত এক সংবর্ধনা সমাবেশে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা। আশরাফুল হাসান বুলবুলের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন আসাদুল বারী আসাদ, আজহারুল হক মিলন, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া, মোস্তফা জামান টিটু, নির্মল পাল, রুবিয়া সুলতানা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ প্রমুখ।
আব্দুল্লাহ আল কায়সার এমপি জেলার রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্তির অভিযোগ তুলে বলেন, যখনই স্বার্থের কথা আসে, তখন আমরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাই। কেন যেনো আমরা আরেকজনকে এগিয়ে দিতে চাই না। সবাই বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত। কেন যেনো আমরা নিজেদের গ্রুপের স্বার্থটাকেই বড় করে ফেলি। এত বিদ্বেষ, এত গ্রুপিং, এত ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমালোচনা করে দিন শেষে কী হয়? রেজাল্ট জিরো।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করা উচিৎ। সময় এসেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যে পরিমাণ উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে যে প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই প্ল্যাটফর্মে উপনীত হওয়ার জন্য আমরা নিজেদের প্রস্তুত করছি।
উন্নয়নের জন্য একতাবদ্ধ হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। প্রবাসীদের রাজনৈতিক কোন্দলে জড়িয়ে না পড়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা প্রবাসে এসেছেন পরিশ্রম করতে, কেউ শখের বশে আসেননি। সবারই কোন না কোনোভাবে পিছুটান আছে। এ অবস্থায় আমরা কেনো নোংরা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বো? আমাদের সেই পরিবর্তনটা নিজেদের মধ্যেই আনতে হবে।