Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঈদে নিজেদের সঙ্গে বাড়িঘরও সাজুক

ঈদে নিজেদের সঙ্গে বাড়িঘরও সাজুক
ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এক মাস রোজার পর রমজান বিদায়ের পথে, নিজের অজান্তে মনঘরে বেজে উঠছে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই বিখ্যাত জনপ্রিয় গানের সুর...
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে
এলো খুশীর ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে
শোন আসমানী তাগিদ
তুই ভুলে যা দোস্ত দুশমন
হাত মেলাও হাতে।’
ঈদ উদ্্যাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঈদে কী করবেন, কী পরবেন, কী কী খাবেন, কেমন সাজবেন, কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবেন, কাকে কাকে আমন্ত্রণ করবেন-এসব প্রস্তুতির ছক করে রেখেছেন অনেকে।
ঈদ মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ উপলক্ষ। ধর্মীয় ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আনন্দ। সর্বোপরি মানুষে মানুষে ভালোবাসা আদান-প্রদানের ঐতিহ্য।
ঈদ উৎসবের আবহে শুধু নিজেকে সাজালে তো হবে না, নিজ বাড়ির সর্বত্র, এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে ঈদ উৎসবের আনন্দের আমেজ। তবেই পরিপূর্ণ হবে ঈদের আনন্দ।

উৎসব মানেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়, সম্প্রীতির আদান-প্রদান।
আমেরিকাবাসী আমরা সকলেই জানি এবং দেখি, বিভিন্ন উৎসবকে উপলক্ষ করে কত বর্ণিল সাজে সজ্জিত করে আমেরিকায় বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা।
ক্রিসমাসে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাই শুধু নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বা যারা ধর্মে বিশ্বাসী নয়, তারাও নিজেদের বাড়িঘরকে সাজায় আনন্দের সঙ্গে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে বাড়িঘর, গির্জা, শপিংমল, রাস্তাঘাট সেজে ওঠে ঝলমলে আলোতে। রং-বেরঙের সাজসজ্জাই জানান দেয় ক্রিসমাস আসছে। যেদিকেই তাকানো যায়, মনে হয় যেন পুরো এলাকা উৎসব-আনন্দে, খুশিতে ঝলমল করছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পার্ক যেন আলোর ফোয়ারা, সঙ্গে মনমাতানো মিউজিক। সাজানো ক্রিসমাস ট্রি, বিভিন্ন রকম ক্রাফটস, সান্তা ক্রুজ, পুতুলনাচ, আইস স্কেটিংসহ নানা রকম সাজসজ্জা প্রদর্শন বড়দিন উদ্্যাপনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ।

সেন্ট প্যাট্রিক ডের সবুজ রঙের সাজসজ্জা সারা পৃথিবীর মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র। তাদের এই সাজসজ্জা আইরিশ সংস্কৃতি ও উৎসবের চেতনাকে ধারণ করে। হ্যালোউইন উপলক্ষে ভুতুড়ে সাজসজ্জা ও ভুতুড়ে আবহ প্রদর্শন করে।
সব ধর্মীয় উৎসবেই সাজের প্রথা চলছে। মুসলিমদের হৃৎস্পন্দন মক্কা-মদিনাকেও ঈদের সাজে সজ্জিত করা হয়। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব ঈদ। তাতে সবাই সাজবে নতুন সাজে, তবে ঘর-বাড়িটা সাজ থেকে বাদ যাবে কেন?
পরিকল্পনা করে ফেলুন, দরকার সামান্য কিছু উপকরণ আর সৃজনশীল নান্দনিক মন। তার সঙ্গে যুক্ত করুন ঈদের থিম।
আমেরিকায় দোকানগুলোতে সাজসজ্জার জিনিস সহজলভ্য, আর ইন্টারনেটের এই সুবর্ণ সময়ে মানুষ কত সহজেই এবং দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে অন্দরসজ্জার নিত্যনতুন ধারণা।

বাড়ির ছোটদের যেকোনো উৎসবে আগ্রহ থাকে বেশি। তাদের বাড়ি ডেকোরেশনে যুক্ত করা প্রয়োজন, তাতে তারা যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি ঈদের মহাত্ম্য সম্পর্কেও তাদের মধ্যে জানার আগ্রহ বাড়বে।
আলোকসজ্জা যেকোনো স্থানকে ভিন্ন রূপ এনে দিতে পারে। উৎসবে উজ্জ্বল আলো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বাড়িঘর সাজানোর রীতির প্রচলন অনেককাল থেকেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, সাজসজ্জায় যেন ঈদের ধারণার সঙ্গে মিল থাকে।
বাড়িঘরকে উৎসব সাজে সাজাতে ছোট্ট ছোট্ট বাল্বের আলোর মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা যায়। ছোট্ট ছোট্ট মিনি আলোর ঝালরে ঈদ উৎসব আরও দৃষ্টিনন্দন ও জমকালো হয়ে উঠবে।

কেমন সাজবে বাড়ি : রোজকার দেখা ঘর, বারান্দা, জানালার পর্দা, আসবাব, বিছানাপত্রে আনতে হবে একটু পরিবর্তন। এই একটুখানি পরিবর্তন ঘরকে করবে নান্দনিক আর মনকে করবে প্রফুল্ল ও উৎসবমুখর।
ঈদে সাজানো আপনার ঘর আপনাকে এবং আপনার অতিথিদের বলুক ‘ঈদ মোবারক’।

 

কমেন্ট বক্স