Thikana News
০৭ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪
কমিউনিটি অপ-এড

আরও ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ নিউইয়র্কবাসীর জন্য

আরও ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ নিউইয়র্কবাসীর জন্য
মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকে এই প্রশাসনের সুস্পষ্ট লক্ষ্য: জননিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং শহরকে নিউইয়র্কবাসীর জন্য আরও বাসযোগ্য করে তোলা। প্রতিদিন আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছি। আমরা নির্ধারিত সময়সূচির এক বছর আগে, মহামারিকালে হারানো সব বেসরকারি-খাতের চাকরি পুনরুদ্ধার করেছি। গত বছরের মতো এ বছরও শহরজুড়ে সামগ্রিক অপরাধ কমেছে। আমরা ৮.৩ মিলিয়ন নিউইয়র্কবাসী যারা এই শহরটিকে বাড়ি বলে থাকেন তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছি ।
কিন্তু আমাদের শহর যখন মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার হয়েছে, আমাদের পুনরুদ্ধার প্রতিটি নিউইয়র্কবাসীকে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে উপকৃত করেনি। আমাদের শহরে কৃষ্ণাঙ্গদের বেকারত্ব এখনো অনেক বেশি রয়ে গেছে এবং আমরা এই প্রবণতা চলতে দিতে পারি না। এই কারণেই নিউইয়র্ক শহর যাতে শ্রমজীবী-শ্রেণির মানুষের শহর হিসেবে থাকে তা নিশ্চিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন কমিউনিটির চাকরি এবং কর্মজীবন প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারি পদ্ধতি ‘জবস এনওয়াইসি’ গত সপ্তাহে চালুর মাধ্যমে আমরা একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এই দিকটি উপেক্ষিত ছিল। জবস এনওয়াইসির অংশ হিসেবে আমরা কর্মসংস্থান বৈষম্যের সম্মুখীন বেশ কিছু মহল্লায় নিয়োগ কেন্দ্র চালু করেছি। এই কেন্দ্রগুলো পাঁচটি বরোজুড়ে নিউইয়র্কবাসীর জন্য ভালো বেতনের সরকারি ও বেসরকারি-খাতের চাকরির সুযোগ নিয়ে আসে।
অ্যাডামস বলেন, আমরা একটি নতুন চাকরির পোর্টাল ‘জবস ডট এনওয়াইসি ডট গভ’ চালু করেছি। চাকরিপ্রার্থীরা এখন এই ব্র্যান্ড-নতুন ওয়েবসাইট দেখার জন্য তাদের ফোন ব্যবহার করতে বা নতুন চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ কেন্দ্রে যেতে পারেন। এটি আমাদের সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে সব নিউইয়র্কবাসীর অংশগ্রহণ আগের চেয়ে সহজ এবং আরও বোধগম্য করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
এছাড়াও, শহরের নির্দিষ্ট কিছু এন্ট্রি লেভেল চাকরির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সংস্কারে গত বছর যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম তার উপর ভিত্তি করে জবস এনওয়াইসি তৈরি। যার মধ্যে অনেক পদে কলেজ ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নগর সরকারে স্কুল সেফটি এজেন্ট থেকে শুরু করে প্রযুক্তির ভূমিকা পর্যন্ত হাজার হাজার উন্মুক্ত চাকরি আছে। আগে নিউইয়র্কবাসীর চাকরি পেতে অনেক ঐতিহাসিক বাধা ছিল। এই কমনসেন্স সংস্কারগুলো ভালো বেতনের চাকরি আগের চেয়ে আরও বেশি অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলছে। কারণ আমরা চাই আরও বেশি নিউইয়র্কবাসী ‘টিম নিউইয়র্ক’-এ যোগদান করুক।
আমরাও চাই যারা নগর সরকারে কাজ করে তারা শ্রমজীবী ​​পরিবারের চাহিদা পূরণ করার মতো অনেক সুবিধা পাক। গত মাসে আমরা নন-ইউনিয়ন সিটি কর্মীদের জন্য সবেতন প্যারেন্টাল ও ফ্যামিলি ছুটি চালু করে হাজার হাজার কর্মচারীর জন্য নগর সরকারকে আরও পরিবার-বান্ধব করে তুলেছি। পৌরসভার ১০ হাজারের বেশি কর্মচারীকে উপকার এবং শহরটিকে সারাদেশের পৌরসভা ও বেসরকারি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পরিবারের গুরুতর অসুস্থ সদস্যের যত্ন নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা নন-ইউনিয়ন কর্মীদের জন্য সবেতন প্যারেন্টাল ছুটি দ্বিগুণ অর্থাৎ ছয় সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করেছি। এছাড়া তাদের জন্য ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সবেতন ফ্যামিলি ছুটি দেওয়া শুরু করেছি। 
আমি ব্লু-কালার (শ্রমজীবী শ্রেণি) মেয়র হতে পেরে গর্বিত। সেই কারণেই আমরা সিটি অফ নিউইয়র্কের শ্রম খাত হালনাগাদ এবং উন্নত চুক্তিগুলো নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। আমাদের কঠোর পরিশ্রমী সরকারি কর্মচারীদের আরও ভালো সুবিধা এবং উচ্চ বেতন নিশ্চিত করতে গত ১৩ মাসে আমরা শহরের ৯৫ শতাংশ এবং শহরের ইউনিফর্মধারী ১০০ শতাংশ কর্মীর প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলোর সাথে চুক্তি করেছি।
আমাদের প্রশাসন বোঝে যে জীবনের জেগে থাকা সময়ে আমরা যা করি তার চেয়ে একটি চাকরি অনেক বেশি। একটি চাকরি আমাদের আমেরিকান স্বপ্ন অর্জন করতে সক্ষম করে। এই কারণেই আমরা নিউইয়র্কবাসীর ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যারিয়ার এবং প্রশিক্ষণ সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত করতে ঐতিহাসিক বিনিয়োগ করেছি।
সব নিউইয়র্কবাসী বিশেষ করে ব্লাক ও ব্রাউন কমিউনিটি যে শহরের সমৃদ্ধিতে অংশীদার তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জবস এনওয়াইসি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সরকারি কর্মচারী এবং নেতাদের নিয়োগ করতে সাহায্য করবে। তারাই আমাদের আরও ন্যায়সঙ্গত নিউইয়র্ক সিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যেখানে প্রত্যেকেরই একটি ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এই চাকরি তাদের পরিবারকে সমর্থন করতে এবং মিশন ও গর্বের অনুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করবে।
আসুন একসাথে মিলে নিউইয়র্ক সিটিকে বাসযোগ্য ও কাজ করার জন্য বিশ্বসেরা শহর হিসেবে রাখি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি ঘন্টা ন্যূনতম মজুরি ২০ ডলার: 
এদিকে মজুরি বাড়লো ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটে। গত ১ এপ্রিল থেকে প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে ২০ ডলার করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ছিল ১৬ ডলার করে। বাড়তি এ সুবিধা মূলত ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টেই কার্যকর হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি থেকে নিউইয়র্কে ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা হয়েছে ১৬ ডলার করে। পার্শ্ববর্তী নিউ জার্সিতে ১৫.১৩ ডলার হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা হচ্ছে ১৭ ডলার করে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ আনুষঙ্গিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মজুরিঘণ্টা বৃদ্ধির ঘটনা স্টেটসমূহে ঘটলেও ফেডারেল মজুরি ঘণ্টা এখনও মাত্র ৭.২৫ ডলার করে। 
এ নিয়ে নানা সমালোচনা অব্যাহত থাকলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রহস্যজনক নীরবতা অবলম্বনের অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সারাবিশ্বের শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিয়ে যারা সোচ্চার, তারা কেন নিজ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মজুরি বাড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? 
এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানরা একাকার। আর এই অবিশ্বাস্য রকমের বৈষম্য চলছে ২০০৯ সাল থেকে। 
উল্লেখ্য, ন্যূনতম মজুরির শ্রমিকের সিংহভাগই হচ্ছেন অভিবাসীরা। ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে টিপসের ভাগ পেয়ে থাকেন এসব শ্রমিকরা। এজন্যই ফেডারেল সরকারের গুরুত্ব কম এ সেক্টরের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে।

কমেন্ট বক্স