সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৫ হাজার ১০২ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে দেশের রফতানি আয় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০২ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে মার্চ মাসে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এ মাসে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কম রফতানি আয় হয়েছে।
ইপিবি জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৫৪ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাক খাত
এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ২০২ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কম।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২১ হাজার ১১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৬ হাজার ১৯১ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম।
এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯৪ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলারে, যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ছিল ৯১৯ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার।
তবে জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭১৫ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ঠিকানা/ছালিক