যুক্তরাষ্ট্রে ছোট ছোট সন্তানের বাবা-মায়েরা বিভিন্ন পেশায় ব্যস্ত থাকেন। ছোট্ট সন্তানের কারণে অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজন কাজ করতে পারেন না, বাবা একা কাজ করেন। এসব সংসারে একজনের আয়ে সংসার চালানো অনেকের পক্ষেই কঠিন। অনেক পরিবারই আছে, যারা ছোট সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছে রেখে কাজ করেন। কিন্তু সবার সেই সুযোগ নেই। যাদের নেই তারা কাজ করার জন্য ওই সময়ে যাতে তার সন্তানকে দেখাশোনা করতে পারেন, লালন-পালন করতে পারেন, খাওয়ানো গোসল থেকে শুরু করে সব কাজ করতে পারেন, এ জন্য ন্যানি কিংবা বেবিসিটার রাখেন। যারা সিটিতে থাকেন, তারা লিভ আউট ন্যানি রাখেন। আবার কেউ কেউ লিভ ইন ন্যানি রাখেন।
যারা ন্যানি রাখছেন, তারা ন্যানিদের নানা শর্তে পেরেশান হয়ে যাচ্ছেন। পেরেশানির মধ্যে রয়েছে, ন্যানির পছন্দমতো সাবওয়ের কাছে বাসা হতে হবে, ঘণ্টায় ২০ ডলার বেতন দিতে হবে, দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না, ক্যাশ অর্থ দিতে হবে প্রভৃতি। অনেকেই চেকে কোনো অর্থ নিতে চান না।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ন্যানি কিংবা বেবিসিটার রাখবেন, তাদের উচিত অবশ্যই যিনি লিভ ইন ন্যানি ও বেবিসিটার হিসেবে কাজ করবেন, তাদের সোশ্যাল নম্বরের বিপরীতে ১০৯৯ ইস্যু করা। এতে করে দুটি লাভ হবে। প্রথমত, তারা যে সন্তান লালন-পালন করছেন, এর মধ্যে একটি অংশ তারা ট্যাক্স-সুবিধা পাবেন। দ্বিতীয়ত, যারা ন্যানি রাখছেন, তারা যদি ক্যাশে পেমেন্ট না করে চেকে পেমেন্ট করেন, সে ক্ষেত্রে তাদের এই অর্থের হিসাবও থাকছে। যিনি লিভ ইন বেবিসিটার, ন্যানি হিসেবে কাজ করছেন, তারা যে তার সন্তানের জন্য কাজ করছেন, এরও প্রমাণ থাকবে। কখনো কোনো সন্তানের কিছু হলে তারা যাতে বলতে পারেন এবং পরেও যোগাযোগ করতে পারেন।
এদিকে ন্যানিদের শর্ত হচ্ছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা ছাড়াও তাদের সবকিছু দিতে হবে। সময়ও তারা ঠিক করবে। তবে সব ন্যানিই এমন নয়, ন্যানি হতে ইচ্ছুক অনেকে এসব শর্ত দেন না। অনেকেই আছেন, যারা দুই পক্ষ পছন্দ হলে কাজ শুরু করেন এবং পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই থাকেন। এতে দুই পক্ষই খুশি থাকে।