অবশেষে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক রাশিয়া সরবরাহ বাড়াতে পারে বলে প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশায় জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতি-নির্ধারকরা। সেখানে চলতি বছরের কবে নাগাদ সুদের হার কমানো হতে পারে, সেই আভাস দেবেন তারা। এর আগে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য তুলনামূলক ধীর হয়েছে। তেলের দর হারানোর অন্যতম কারণও এটি।
এই প্রেক্ষাপটে ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের আগামী মে মাসের চুক্তি মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১৫ সেন্ট। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৮৬ ডলার ৭৪ সেন্টে। একই কার্যদিবসে ফিউচার মার্কেটে ইউএস বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ১৩ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮২ ডলার ০৩ সেন্টে।
আগের কর্মদিবসে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম বেড়েছিল। গত ৪ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল। বিশ্বের বৃহৎ রপ্তানিকারক সৌদি আরব ও ইরাক প্রত্যাশার চেয়ে কম রপ্তানি করায় এই ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়। এছাড়া বৃহত্তম দুই অর্থনীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং চাহিদা শক্তিশালী হওয়ার সংকেত পাওয়া যায়। জ্বালানি পণ্যটির দর বৃদ্ধির অন্যতম কারণও ছিল এটি।
কয়েক মাস আগে রাশিয়ার তেল অবকাঠামোতে আঘাত হানে ইউক্রেন। তাতে রুশ তেলের বাজার চাপে পড়ে। পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহ বাড়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। এবার আরও রপ্তানির ইঙ্গিত দিলো তারা।
ঠিকানা/ছালিক