২৫ বছর আগে হাঁটি হাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরু করেছিল ডিজিটার ওয়ান ট্রাভেল। দীর্ঘ এই পথচলা কখনোই মসৃন ছিল না। সময়ের পথ পরিক্রমায় এবং অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল আজ প্রবাসে (বাকি অংশ ৫৭ পাতায়)
সফলতার ২৫ বছরে ট্রাভেল ব্যবসায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। আমরা আমাদের গ্রাহককে সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল এই প্রবাসে পরিচিতি পেয়েছে ‘বাংলা ট্রাভেল’ হিসাবে।
সফলতার ২৫ বছর উপলক্ষ্যে প্রবাসের প্রাচীনতম পত্রিকা ‘ঠিকানা’র সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা জানান বাংলা ট্রাভেলের কর্ণধার, প্রবাসের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বেলায়েত হোসেন বেলাল। তিনি বলেন, ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্রাভেল। প্রতিষ্ঠানটি তার গ্রাহকের কাছে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আজ বাংলা ট্রাভেল এতদূর এসেছে।’
বেলাল জানান, বাংলা ট্রাভেল বিশ্বের সব খ্যাতনামা এয়ারলাইন্সের সরাসারি এজেন্ট। এজন্য আমরা অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে এয়ার টিকেট বিক্রি করতে পারি। শুধু টিকেট বিক্রি করেই আমরা আমাদের কার্যক্রম শেষ করি না। টিকেট বিক্রির সঙ্গে থাকে গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। আমরা আমাদের গ্রাহককে সর্বোত্তম ও সর্বাত্মক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের একজন গ্রাহক যদি বাংলাদেশে যান, ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার সেবা গ্রহণের সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ বিমানবন্দরে রয়েছে আমাদের বিশেষজ্ঞ সেবা দল, যারা দীর্ঘ যাত্রা শেষে দেশের মাটিতে একজন প্রবাসীর কষ্ট লাঘব করে দেন। যাত্রীর লাগেজ নিরাপদে তার হাতে তুলে দেন। এমনকী পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে রয়েছে বাংলা ট্রাভেলের আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল, যাদের আতিথেয়তায় একজন মুসল্লির যাত্রা হবে স্বাচ্ছন্দ্য ও আরামদায়ক।
তিনি জানান, বাংলা ট্রাভেলে ২০ সক্রিয় কর্মী রয়েছে, যারা ট্রাভেল ব্যবসায় অভিজ্ঞ। ২০ থেকে ২৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।
বাংলা ট্রাভেলের কর্ণধার বেলায়েত হেসেন বেলাল আরো জানান, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হয়। একজন গ্রাহক এক ছাদের নিচে অনেক ধরনের সেবা চান। আমরাও চেষ্টা করছি তাদের অনেকগুলো সেবা দিতে। তিনি জানান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অবস্থিত বাংলা ট্রাভেলে এয়ার টিকেট ছাড়াও বিশ্বভ্রমণে সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের ভিসা সহায়তা দেওয়া হয় এখান থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যায় বাংলা ট্রাভেল থেকে। এছাড়া এখানে রয়েছে মানি ট্রান্সফার সুবিধাও। রয়েছে ইমিগ্রেশন সহায়তা। এছাড়া বাংলা ট্রাভেলে রয়েছে মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক পণ্যের বিশাল সমারোহ।
বাংলা ট্রাভেলকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে চান বেলায়েত হোসেন বেলাল। তিনি বলেন, সময়ের সাথে বাংলা ট্রাভেলকে আরো বিস্তৃত করতে চাই। শিগিগিরই আমাদের অনলাইন পোর্টালও চালু হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্টেটে শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অনলাইন পোর্টাল চালু হলে ঘরে বসেই বাংলা ট্রাভেলের সেবা নিতে পারবেন প্রবাসীরা।
বাংলা ট্রাভেল আইএটিএ এবং অ্যাটাবের সদস্য। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বেলায়েত হোসেন বেলাল যুক্তরাষ্ট্রের একজন আমদানিকারক। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ট্রাভেল ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক বিভিন্ন টেলিভিশন টকশো’র নিয়মিত আলোচক।
সততা ও নিষ্ঠারই বাংলা ট্রাভেলের একমাত্র মুলধন। আর এ কারণে এ পর্যন্ত বাংলা ট্রাভেল অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সর্বশেষ তিনি ছিলেন সংগঠনটির নির্বাচন কমিশনার।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অধিকারী বেলায়েত হোসেন বেলাল ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে। বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
২৫ বছর পূর্তিতে সফল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলা ট্রাভেলকে প্রবাসের প্রাচীনতম পত্রিকা ‘ঠিকানা’ পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো অভিনন্দন ও শুভ কামনা।


ঠিকানা রিপোর্ট


