বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একমাত্র বাসযোগ্য এই পৃথিবী এখন একদিকে নৃশংস মহামারি ও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মনুষ্যসৃষ্ট যুদ্ধ-বিগ্রহ-কলহে মহা সংকটে। পৃথিবীর আসন্ন ধ্বংসযজ্ঞে মানুষ আর প্রকৃতি যেন আপসহীন প্রতিযোগিতায়। করোনা মহামারি তথা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে ২০২০ সাল থেকে প্রাণ হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। কোটি কোটি মানুষ হয়েছে সংক্রমিত। সংক্রমণ এখনো থেমে নেই। এরই মধ্যে সংঘটিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এর ওপর চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা, যা বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস হিসেবে নতুন গোলযোগ ও আতঙ্ক। চীন, রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ মারা যাবে খাদ্যাভাবে। নেবারে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই বলা হয়েছে। গবেষকদের মতে, এই শেষ নয়। পরের মহামারি এবং দুর্যোগগুলো হবে আরও ভয়ংকর। আগামী বিশ্বের বড় সংকটের কারণ হবে জলবায়ু পরিবর্তন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞানীদের এ গবেষণায় বলা হয়েছে, ফিডব্যাক লুপসের কারণে পৃথিবীর জলবায়ুর বর্তমান অবস্থার স্থায়ী পরিবর্তনের ভয়াবহ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা মানবজাতি তথা মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এশিয়ার দেশগুলোতে সমানুপাতিক হারে খরা ও বন্যার আঘাত, পশ্চিমা দেশগুলোতে দাবানল ও ঘূর্ণিঝড়, আফ্রিকার খরা ও নানা রোগের প্রকোপ এবং প্রায়শ পৃথিবী বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প অশনিসংকেত দিচ্ছে মানবসভ্যতাকে। যেভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, এতে বড় রকমের সংকটের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী। তদুপরি বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে, গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ। আর্কটিক অঞ্চল ছাড়াও যে হারে হিমালয়ের বরফ গলছে, তাতে এশিয়ার দেশগুলো মহাসংকটের সম্মুখীন হবে। জলবায়ুর প্রভাবে পৃথিবীর একাংশ তলিয়ে গেলে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, চীন, ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো বড় রকমের বিপদে পড়বেÑবিজ্ঞানীদের মন্তব্য। জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে ঢাকা, ব্যাংকক, জাকার্তা, মুম্বাই, সাংহাই, কোপেনহেগেন, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউইয়র্ক, বুনো আরিস, সান্তিয়াগোর মতো বড় শহরগুলো। দ্বিগুণ হারে গলছে মেরু অঞ্চলের বরফ। ক্রমাগত পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে চলেছে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো। এর ফলে প্রকৃতির ওপর পড়ছে নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক একটি দিক হলো, এই বর্ধিত উষ্ণতায় বেড়ে চলেছে মেরু অঞ্চলের বরফ গলনের পরিমাণ। উত্তর মেরুর আর্কটিক মহাসাগরের বরফ গলনের যে হার বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছিলেন, বাস্তব হার তার প্রায় দ্বিগুণ। এভাবে চলতে গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে আর্কটিকের কিছু অংশে বরফের কোনো আস্তরণ থাকবে না। আর এরূপ ঘটলে কেবল বৈশ্বিক তাপমাত্রাই বাড়বে না, বরং এর পাশাপাশি বিশ্বের বহু উপকূলীয় অঞ্চলে চরম আবহাওয়া এবং বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। ফলে প্রাণহানি হবে ও সম্পদ ধ্বংস হবে। ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে অচিরেই ডুবে যেতে পারে পৃথিবী। তারা বলেন, প্রায় সোয়া এক লাখ বছর আগে ডুবে গিয়েছিল পৃথিবীর অধিকাংশ স্থলভাগ। ওই সময় পৃথিবীর সব কটি মহাসাগরের পানির স্তর ৩০ ফুটেরও বেশি উঠে এসেছিল। ফলে ভূপৃষ্ঠের প্রায় পুরোটাকে গিলে ফেলেছিল মহাসাগরগুলো। এ জন্য দায়ী ছিল অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরের পাহাড়সমান বিশাল বিশাল বরফের চাই গলে যাওয়া। প্রাগৈতিহাসিক এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশ ও ভূ-বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এবারেরটি হতে পারে আরও ভয়াবহ। কারণ এবার মহাসাগরগুলোর পানির স্তর ৭০ থেকে ৮০ ফুট উঠে আসতে পারে, যা কিনা ছয়-সাততলা বাড়ির সমান। এতে প্রথম ধাক্কাতেই ডুবে যেতে পারে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো। এসব তথ্য প্রকাশ পায় ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির জলবায়ুবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায়। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। সে গবেষণাপত্রে এর জন্য একমাত্র দায়ী করা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে। সেখানে বলা হয়েছে, খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে কুমেরুর বরফের বড় বড় চাঙরগুলো। এমনটি চলতে থাকলে অচিরেই পৃথিবী মহাপ্লাবনে প্লাবিত হতে পারে। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এই মানবসভ্যতা। জলবায়ুবিজ্ঞানীরা বলেন, সোয়া এক লাখ বছর আগে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে এসেছিল সূর্যের ভয়ংকর সৌরঝড়, সৌরবায়ু। যে কারণে পৃথিবী এতটাই উষ্ণ হয়েছিল যে কুমেরুর বরফের পাহাড়গুলো খুব দ্রুত হারে গলতে বাধ্য হয়েছিল। গবেষকেরা দেখছেন, কুমেরুর বরফ চাইগুলো গলে গিয়ে পাতলা হয়ে গেছে। যে হারে গলছে কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীতে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপ টোঙ্গায় সমুদ্র-তীরবর্তী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে কাছের দেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে সুদূর জাপান, আমেরিকার আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, চিলি এসব দেশ পর্যন্ত বিশাল সুনামি আছড়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ শেষ আশ্রয় হারানোর মুখে। তদুপরি আবহাওয়ামণ্ডলে রহস্যময় বিস্ফোরণ। পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডলে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ দেখে বিজ্ঞানীরা শঙ্কিত। তারা মনে করছেন, এসবই প্রলয়ের আগের অবস্থা। কিছুদিন আগে ‘সুপার ব্লাড মুন’ দেখা গিয়েছিল। আর এবার এই রহস্যময় বিস্ফোরণ। এসবকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবী ধ্বংসের চিহ্ন হিসেবেই দেখছেন। বিশ্বজুড়ে একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ ও দাবানল, অন্যদিকে ভয়াবহ বন্যা ও মহাপ্লাবন। প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্টে পৃথিবীর ধ্বংস ত্বরান্বিত করছে। এই ধ্বংসের আলামত দিন দিন পরিলক্ষিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ‘মানবসমাজের পতন’ নিয়ে ১৯৭২ সালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, জনসংখ্যা, শিল্পোৎপাদন, প্রজনন হার, খাদ্য উৎপাদন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্ব ‘সর্বাত্মক সামাজিক পতন’ প্রত্যক্ষ করতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে পরিবর্তন, ইন্টারনেট ব্যবস্থায় কম্পিউটিং জগতে বিস্ফোরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এককথায় যন্ত্রনির্ভর প্রযুক্তি ও প্রগতি ইত্যাদি জলবায়ু পরিবর্তন এবং মরণব্যাধি মহামারি সমন্বয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী। অর্থাৎ বর্তমান সভ্যতার বিলুপ্তি এবং পৃথিবীর ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
এবার মরণব্যাধি করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আরও একটু আলোচনায় আসি। ২০২০ সালে আবির্ভূত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ইতিহাসে একই সঙ্গে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে মানবঘাতী ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম। এই করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে সংক্রমিত করেছে ও অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই মহামারি করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছদ্মনামে চরমভাবে আঘাত হানছে মানুষের জীবন, সম্পদ, সহায় সম্বল ও অস্তিত্বের বিলোপ সাধনে। করোনার মতো মহামারি পৃথিবীতে নতুন নয়। যুগে যুগে পৃথিবীতে এই মহামারি দেখা গেছে এবং অসংখ্য মানুষের সংক্রমণ ও প্রাণহানি ঘটেছে। এই মহামারি প্লেগ, সার্স, মার্স, স্প্যানিশ ফ্লু, গুটি বসন্ত বা স্মল পক্স, কলেরা, জিকো ভাইরাস, ইবোলা ইত্যাদি ছদ্মনামে বারবার মরণ আঘাত হেনেছে মানুষের জীবন, অস্তিত্ব ও মানবসভ্যতার মর্মমূলে। প্রসঙ্গক্রমে ধর্মীয়ভাবে উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ধারাবাহিকভাবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মরণব্যাধি মহামারির নিষ্ঠুরতায় সহায়-সম্পদসহ মানুষের অস্তিত্বের মর্মমূলে চলমান আঘাতের জন্য দায়ী হিসেবে বলা যেতে পারে পৃথিবীময় অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, মানুষে মানুষে, দেশে দেশে হানাহানি, মানবতা ও নৈতিকতার অবক্ষয়, অপকর্ম এবং প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও সৃষ্টিকর্তাদ্রোহী জীবনযাপন। বর্তমান সভ্যতার মানবপ্রকৃতির পরিপন্থী বস্তুতান্ত্রিকতা ও পার্থিবীকরণের মনগড়া মতবাদের কার্যক্রমে কোনো প্রকৃত মানদণ্ড নেই। এ অবস্থায় প্রতিশোধপরায়ণ ক্ষিপ্ত ও রুষ্ট প্রকৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন দীর্ঘ খরা, দাবানল, অনাবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, বরফ ও হিমবাহ গলাজনিত মহাপ্লাবন, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্্গিরণ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির মাধ্যমে পৃথিবীকে সংকটাপন্ন করে তুলছে। লক্ষণীয়, মরণব্যাধি মহামারির, অতিমারির মাধ্যমে বারবার আঘাত হানছে ধরাপৃষ্ঠ থেকে মানুষের অস্তিত্ব চিরতরে মুছে ফেলার জন্য। সৃষ্টিকুলের অগণিত প্রাণহানি ছাড়াও আঘাত হানছে সহায়-সম্পদ, অস্তিত্বের মর্মমূলে ও সমাজ, মানবসভ্যতার সুরক্ষিত মর্মে। অর্থনৈতিক ধস, ব্যবসা-বাণিজ্যের পতন এবং বেকারত্ব, ক্ষুধা-দারিদ্র্যের, করাল ছায়া সমাজ ও সভ্যতাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এ অবস্থা চলতে চলতে একসময় পুরো বিশ্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। পৃথিবীর ধ্বংস যে অনিবার্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থে ডুমস ডের কথা বলা আছে। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে রোজ কিয়ামতের কথা। যেদিন ফেরেশতা ইসরাফিল আলাইহিস সালাম শিঙা ফুঁকবেন, সেদিন সারা বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। আর বিজ্ঞানীরাও পৃথিবী ধ্বংসের বিষয়ে একমত। তবে এই ধ্বংস কবে হবে, কত দিন পরে হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারছে না। ইসলাম ধর্মমতে, পৃথিবী ধ্বংসের অর্থাৎ কেয়ামতের পূর্বে কেয়ামত নিকটবর্তিতায় প্রমাণস্বরূপ যে আলামত ও নির্দেশনাগুলো প্রকাশ পাবে, সেগুলোকে ছোট নিদর্শন ও বড় নিদর্শন এই দুই পরিভাষায় আখ্যায়িত করা হয়। ছোট-বড় মিলে ৩৮টি নিদর্শন বা আলামত। কিছু কিছু ছোট আলামত ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়ে গেছে। কিয়ামতের বড় বড় নিদর্শনগুলো হচ্ছে অনেক বড় বড় বিষয়। এগুলোর প্রকাশ পাওয়া প্রমাণ করবে যে কিয়ামত অর্থাৎ পৃথিবীর ধ্বংস অতি নিকটে। বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা যদিও নিশ্চিত করে, কেউই পৃথিবী ধ্বংসের নির্দিষ্ট সময়কাল করতে পারছেন না, পৃথিবী ধ্বংস যে সন্নিকটে এটা নিশ্চিত এ জন্য যে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা এবং মরণব্যাধি মহামারির স্থায়িত্ব ও তীব্রতা এ ব্যাপারে অশনিসংকেত। আলামতদৃষ্টে বলা যায়, পৃথিবীর ধ্বংস অত্যাসন্ন। বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মতে, আলামতসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও মহামারি আকারে কঠিন কঠিন অজানা রোগব্যাধিতে বিপর্যয়ের পর আসবে বিশ্বময় মহামন্দা বা গ্রেট ডিপ্রেশন। এই মহাধাক্কায় বিধ্বস্ত বিশ্ব মানবচরিত্র ও মানবসভ্যতায় বড় রকমের পরিবর্তন আসবে এবং প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর অর্থাৎ ১৩৮০ কোটি বছর পূর্বে একটি মহাজাগতিক বিস্ফোরণের মাধ্যমে সেকেন্ডে যে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু হয়েছিল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারির ক্রমাগত নিষ্ঠুরতায় সেই একই ধরনের বিস্ফোরণেই নিমেষেই বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ধ্বংসের পরও আরেকটি নতুন বিশ্ব গড়ে উঠবে। মানবসভ্যতা নতুন চেহারায় জেগে উঠবে। মহান ইসলাম ধর্মও পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে কেয়ামত ও হাশরের ময়দান এবং সৃষ্টিকর্তা নির্দেশিত শেষ বিচারের দিন উল্লেখে নবরূপে মানবসভ্যতার অনুরূপ আভাস দিয়েছে বহু পূর্বেই। খ্রিষ্টধর্মেও পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে একই কথা বলা হয়েছে ‘ডুমস ডে’র উল্লেখে।
লেখক : ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট। বাফেলো, নিউইয়র্ক।