দুপুরে ‘ভাত ঘুম’ দেয়ার অভ্যাস যাদের আছে তাদেরকে অনেক সময় অলস হিসেবেই ধরা হয়। এখন বিজ্ঞানিরা বলছেন, ‘ন্যাপ’ নেওয়া মস্তিষ্কের জন্য ভালো। বিশেষ করে যারা দুপুরে খাওয়ার পর ক্লান্ত বোধ করেন।
‘স্লিপ হেল্থ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, দিনে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অল্প ঘুম দেওয়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ এবং উরুগুয়ে’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ দ্য রিপাবলিক’য়ের গবেষকরা এজন্য ২০০৯ সালে করা গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করেন। যেখানে বলা হয়েছিল- ১৫ মিনিটের অল্প ঘুমে মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতার কিছু অংশের আংশিক উন্নতি ঘটে।
তবে যারা ‘ন্যাপ’ নেয় এবং নেয় না- তাদের মধ্যে তুলনামূলক কতটা উপকার হয়, সেটা দেখতে গবেষকরা ‘ইউকে বায়োব্যাংক স্টাডি’র ৩ লাভ ৭৫ হাজার অংশগ্রহণকারীর তথ্য পর্যালোচনা করেন।
তাদের ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা গেছে অল্প ঘুম দেওয়ার সাথে অভ্যস্ততার সম্পর্ক রয়েছে। আর যারা দুপুরে ঘুমায় না তাদের তুলনায় এই অভ্যাস যাদের আছে তাদের জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য উন্নত ও মস্তিষ্কের ঘনত্ব বেশি।
যদিও গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ গবেষকরা এখনও তাদের ফলাফলকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়নি।
তাহলে কখন কতক্ষণ ঈষৎ ঘুম দেওয়া উচিত?
এই গবেষণা পত্রে সময় ও ক্ষণ সম্পর্কে কিছু বলা না হলেও, এই ধরনের অন্যান্য গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে জানা যায়- যদি দিনের মধ্যভাগের পর ক্লান্তি অনুভূত হয় তবে দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ‘ন্যাপ’ বা অল্প ঘুমে অভ্যস্ত হওয়া উপকারী।
২০১৫ সালে প্রকাশিত বেলজিয়ামের ‘নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট’য়ের করা গবেষণায় আরও বলা হয়, দিনের ক্লান্তি কাটাতে অল্প ঘুম দেওয়ার জন্য সবচেয়ে অনুকূল সময় হল দুপুরের খাবারের পর।
তবে অবশ্যই ৯০ মিনিটের বেশি ঘুমানো যাবে না। অর্থাৎ একটি ঘুম চক্রের মধ্যেই দিনের ঈষৎ ঘুমের অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে।
এসআর