Thikana News
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশেষ ইউনিট গঠনের মাধ্যমে আগামী এপ্রিলেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের খুঁজে তালিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাসহ নানাবিধ শাস্তির আওতায় এই ঋণখেলাপিদের আনা হবে। কোনো ব্যাংক প্রজ্ঞাপনের শর্ত লঙ্ঘন করলে দিতে হবে চড়া জরিমানা।

১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এতথ্য জানায় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো ঋণখেলাপি গ্রাহকের ঋণ বেনামিতে নেয়া হলে ও সেই ঋণের অপব্যবহার করলে তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করতে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ গঠন করা হবে। এরপরই শুরু হবে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি খোঁজা এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনার কাজ।
 
এ ছাড়া কোনো ব্যাংক প্রজ্ঞাপনের শর্ত লঙ্ঘন করলে গুনতে হবে কমপক্ষে ৫০ লাখ ও সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। শর্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে প্রতিদিন আরও এক লাখ টাকা করে জরিমানা হবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয় এই প্রজ্ঞাপনে।
 
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করলে এবং জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কেউ ঋণ নিলে তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ ছাড়া যে উদ্দেশ্য ঋণ নেয়া হয়েছে, তার বাইরে অন্য কাজে ঋণের অর্থ ব্যবহার করলেও তা চিহ্নিত হবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে।
 
এ জন্য ৯ এপ্রিলের মধ্যে পৃথক ইউনিট গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে দেশের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ইউনিট কোনো খেলাপি গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি কি না, তা খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি নতুন খেলাপিদের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে যাচাই করার নির্দেশনাও দেয়া হয় এতে।
 
ইউনিটের তালিকায় ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে কেউ ভুক্ত হলে ১৪ দিনের ভেতর তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষ চিঠি দেবে। খেলাপির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলে বা বক্তব্য উপস্থাপন না করলে ব্যাংক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে গ্রাহককে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটিও জানানো হবে। তবে গ্রাহক চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আপিল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
 
যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে, ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। তার কোনো ধরনের সুদ মওকুফ বা পুনঃতফসিল করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ঋণ অন্য কোনো ব্যাংক কিনে নিতে পারবে না এবং এই ঋণ পুরোপুরি শোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।
 
ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। এসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যাতে নতুন করে কোনো কোম্পানি খুলতে না পারেন এ জন্যও পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব খেলাপিরা কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননাও পাবেন না। তাদের তালিকাসহ গাড়ি, বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাটের নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়।
 
কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করে নিয়মিত হলেও সহজে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এ জন্য তাকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহককে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য দুই মাসের নোটিশ এবং টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে ফৌজদারি মামলা করবে ব্যাংক।    

ঠিকানা/ছালিক 

কমেন্ট বক্স