সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ৮ মার্চ (শুক্রবার) রাতে উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরেরদিন রাতে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার প্রেমিক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার জালালপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছর উদ্দিন (৩৫), ফয়জুল বারী (৪৫), কামারগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৫), জালালপুর গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ছয়ফুল ইসলাম (৩০)। ঘটনার ২ দিন পরও গ্রেপ্তার করা যায়নি অভিযুক্তদের।
জানা গেছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে মো. নুরুজ্জামান (২৩) হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার সঙ্গে ১৬ বছরের ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার নুরুজ্জামানের সঙ্গে হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। এরপর সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কামারগাঁওয়ে নুরুজ্জামানের বন্ধু আফাজ উদ্দিনের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তারা। সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজারের আজমপুর খেয়াঘাটে একই গ্রামের অটোরিকশাচালক আব্দুল করিমের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। আব্দুল করিম তাদেরকে আফাজ উদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। তার কথা মতো রাতে সেখান থেকে অটোরিকশায় রওনা দেন কিশোরী ও তার প্রেমিক। এরপর পথে গ্যাস নেই জানিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছর উদ্দিনকে ডেকে আনেন চালক। পরে তারা প্রেমিক-প্রেমিকাকে চড় দিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখান। এরপর পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে আফছর উদ্দিন, ফয়জুল বারী, আব্দুল করিম ও ছয়ফুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর একই অটোরিকশায় তুলে প্রেমিক-প্রেমিকাকে কিছুদূর নিয়ে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগীরা রাতে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। সকালে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য সিকান্দার আলীর সহযোগিতা চান তারা।
সিকান্দার আলী জানান, শনিবার দুপুরে তিনি দুজন ইউপি সদস্যকে খবর দিয়ে ঘটনা জানান এবং পুলিশকে খবর দেন। বিকালে পুলিশ এসে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটিসহ তার প্রেমিককে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলাও নে
ঠিকানা/এসআর