কোকিলের নয়; কাঠঠোকরার ছন্দিত ঠোক শুনে-
চেতনায় আসে; তবু আনমনে, আঙুলের কর গুনে-
নিশ্চিত হই; এসেছে ফাগুন। বন কাঁপে, মন কাঁপে-
নয়া জাগরণী নতুন শব্দে; উষ্ণতা-উত্তাপে।
বিচিত্র রং কাঠঠোকরাটিÑসেজেছে নতুন সাজে,
ঠক ঠক ঠক ঠোকরের ঘায়ে-নিয়োজিত নিজ কাজে।
ঠোঁটের ছেনিতে শিল্পের দাবি-মেটানোর কাজে নয়,
ক্ষুধার দাবিতে; তাহার ভুবন-হয়েছে ঠোকরময়।
একা জেগে নয়; বাহারি ঠোঁটের ঠোক্করে বারে বারে,
কাঁপিয়ে কানন; ঘোষণা করছে-ফাগুন এসেছে দ্বারে।
কুহেলিকা ঘেরা শীতনিদ্রার-প্রহর হয়েছে শেষ,
প্রকৃতি ধরেছে; সবুজ হলদে-লাল আগুনের বেশ।
বনে বনে মনে; জাগরণী সাড়া-নীরব তুলকালাম,
সেখানে ঘোষিত লিখিত; শুধুই কোকিলের কালো নাম-
সেদিন গিয়েছে। প্রাণশক্তিতে উদ্যমে উদ্যোগে-
এই ফাল্গুনে নতুন পৃথিবী; আবার উঠেছে জেগে।
সুবিধাবাদের কোকিলেরা নয়; প্রাণিত শাণিত ঠোঁটে-
কাঠঠোকরারা কাঁপায় পৃথিবী; কলি ফুল হয়ে ফোটে-
তাদের তীব্র ঝাঁকুনি; আদরে-পুরুষালি বৈভবে,
এবার ফাগুনে; ফুলেরা, পাখিরা-তাহাদেরই কথা ক’বে।