কেন যেন মনে হচ্ছে, আমার মিছিলে যাওয়া উচিত।
ঘাম ঝরানো প্রয়োজন কদাচিৎ।
আজীবন ভেবেছি ওসব অযথা অপচয়।
মায়া কান্না আর ন্যাকামো মার্কা ঢং আরকি।
যত সব ইয়ার্কি।
তবুও-
আমার না মিছিলে যাওয়া উচিত।
সকালে হাটতে গিয়ে মিলিয়ে যেতে পারি মিছিলে।
বাজারে মাছের কানসা তুলে বলতে পারি, “এবার মিছিলে চলো”।
কাজে যাবার পথে হতে পারে মিছিল।
কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে পারি মিছিলে।
শ্রমের মূল্য তুলে বলতে পারি, “মিছিলে যেয়ে দেখো”।
কোন এক ভর দুপুরে কাঁদতে বসে জলের সাথে হতে পারে মিছিল।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে দেখতে তারাদের সাথে যেতে পারি মিছিলে।
সঙ্গম কালে রমনীকে বলতে পারি, “চলো মিছিল করি”।
রাতে ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে হতে পারে মিছিল।
আলোড়নে আন্দোলিত কোন এক মিছিল।
কিন্তু মিছিলের স্লোগান কি হবে.?
কার বিরুদ্ধে হবে মিছিল.?
কার পক্ষ নিয়ে সৃষ্টি হবে নতুন বিপত্তি.?
এই শহর এমন তো ছিল না।
এই সময় এমন তো হবার নয়।
তবে কি ভুল করে ভিন্ন শহরে, ভিন্ন সময়।
শহর তো বস্তুবাদ।
চৈতন্যের বাইরে চৈতন্য নিরপেক্ষ।
তবে আমি সময়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে চাই।
আমি প্রেয়সীর জন্য লাল গোলাপ কিনতে ভুলে যেতে চাই।
আমার রক্তের লালে শুদ্ধ করতে চাই অসমতাকে।
যেখানে আমার অধিকার লাভের অধিকার নেই।
মাটির দিকে হাত নামিয়ে হেঁটে যাই যেখানে-
আঙ্গুল তুলতে পাড়াদের ইশারায়।
আমি সেই সময়ের বিরুদ্ধেই না হয় একটু মিছিল করতে চাই।
মিছিল হবে বৈষম্য থেকে সমতার দিকে।
মিছিল যাবে শোষণ থেকে শাসকের দিকে।
মিছিল এগোবে বিলুপ্তি থেকে সৃষ্টির দিকে।
মিছিল তুমি পীড়ন থেকে প্রেমের দিকে।
মিছিল আমার অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।
পিঠের চাপে দেয়াল ভেঙ্গে পরে ছিল যারা, তারাই হবে মিছিলের সঙ্গি।
এ মিছিল আমার আগত এবং অনাগত’র জন্য।
প্রানের মিছিল আমার অগ্রজ আর অনুজের জন্য।
যৌবন পেরিয়ে যে মিছিল জমেনি,
আমি সেই মিছিল করতে চাই।
সূরে্যর মত রক্তিম উদয়ে-
সময় পেরিয়ে প্রখর হতে চাই।
অস্তে মিলাতে হলে আবার রক্তিম।
তবু একটা মিছিল করতে চাই,
রক্ত কিংবা ঘাম
হওয়া চাই অন্তত একটা মিছিল।